‘সাঁওতালদের ওপর হামলায় সাংসদ ও চেয়ারম্যান জড়িত’
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের ওপর হামলার ঘটনায় স্থানীয় সাংসদ ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জড়িত বলে তথ্য পেয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির তদন্ত দল। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে আওয়ামী লীগ নেতাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে কাজে লাগিয়ে বিএনপি, জামায়াত, হেফাজত ও মৌলবাদী গোষ্ঠী হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাড়িঘর ভাঙচুর-লুটপাট করে সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় বলে তারা মনে করছে।
আজ রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নির্মূল কমিটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে গোবিন্দগঞ্জের ঘটনায় নির্মূল কমিটি গঠিত তদন্ত দলের একজন সাবেক বিচারপতি শামসূল হুদা বলেন, গোবিন্দগঞ্জের ঘটনায় স্পষ্টত স্থানীয় সাংসদ (আবুল কালাম আজাদ) ও চেয়ারম্যান (বুলবুল) জড়িত। ওই হামলাকে অমানবিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি। এ জন্য কি মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম? এই অমানবিক দৃশ্য দেখতে?’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মা’ বলে উল্লেখ করে সাবেক এই বিচারপতি বলেন, ‘মা, আপনি তাদের রক্ষা করুন। এ জন্য যা কর্তব্য তা পালন করুন।’
সংবাদ সম্মেলনে একটি পুস্তিকায় গোবিন্দগঞ্জ ও নাসিরনগরের হামলার চিত্র তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, ২০১২ সালের রামু থেকে ২০১৬ সালের নাসিরনগর পর্যন্ত বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মতো জঙ্গি, মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বানানোর জন্য জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগীরা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন সাবেক বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম। প্রথম আলো