গত ১৯ অক্টোবর শুরু হয় ইংল্যা- ও বাংলাদেশের মধ্যকার ৫ দিনের টেস্ট ক্রিকেট। এই টেস্টের একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো একের পর এক রিভিউ আবেদন। এক টেস্টেই ২৬টি রিভিউ আবেদন করা হয়েছে, যা এর আগে কোনো টেস্টে করা হয়নি। রিভিউ আবেদনের বেশিরভাগই ছিল ইংলিশদের পক্ষে।
এই টেস্ট ম্যাচের আরো একটি বিশেষ চমক হচ্ছে, রিভিউ আবেদনের প্রেক্ষিতে মাঠে থাকা আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তে বেশ কয়েকবার এসেছে পরিবর্তন, যার দেখা মিলেছে টেস্টের প্রথম দিন থেকেই।
টাইগারদের বোলিং তোপে একের পর এক ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা যখন পরাস্থ হয়ে এলবিডাব্লিউ এর ফাঁদে আটকে পড়ছিলো, মাঠের আম্বায়ার যখন টাইগোরদের আবেদনের সাড়া দিচ্ছিল, ঠিক তখনই ইংলিশদের রিভিউ আবেদনের প্রেক্ষিতে থার্ড আম্পায়ারের কল্যানকর সিদ্ধান্ত বার বার বাঁচিয়ে যাচ্ছিল ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের।
এবার আসি শেষ দিনে। পঞ্চম দিনে টাইগারদের জয়ের জন্য দরকার ৩১ রান। হাতে রয়েছে ২টি উইকেট। আর সময়টাও ছিল অঢেল। টাইগারদের যখন জয়ের জন্য প্রয়োজন ২৫ রান। ঠিক তখন এলবিডাব্লিউ’র ফাঁদের আটকে পড়েন তাইজুল। কিন্তু মাঠের আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ চায় ইংলিশরা। ফলাফলে আশ্রয়স্থল হয়ে যায় থার্ড আম্পায়ার। আবারো সিদ্ধান্ত ইংলিশদের পক্ষে।
জয়ের জন্যে এখনও টাইগারদের প্রয়োজন ২৫ রান। হাতে একটি উইকেট। এর পর টাইগারদের রানের স্কোর ২ বাড়ে। জয়ের জন্যে দরকার আর ২৩ রান। এমন সময় আবারো এলবিডাব্লিউ’র ফাঁদে পড়েন শফিউল ইসলাম। এবার মাঠের আম্পায়ার ইংলিশদের পক্ষে সাড়া দিলো। কিন্তু রিভিউ চাইলো বাংলাদেশ। কিন্তু থার্ড আম্পায়ের সিদ্ধান্ত আবারো ইংলিশদের পক্ষে!
এদিকে, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ক্রিকেটার তারেক আজিজ খান ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, রিভিউ পদ্ধতি না থাকলে ইংল্যা–বাংলাদেশ টেস্ট জয়ের ফলাফল হয়তো বাংলাদেশের পক্ষেই আসতো।