নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০তম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে দেশের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে আজ রবিবার। দলের কাউন্সিলররাই এ নেতৃত্ব ঠিক করবেন।আজ সকাল ৯টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শুরু হবে সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের প্রথম অধিবেশন। এরপর জোহরের নামাজ ও মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর শুরু হবে কাউন্সিল অধিবেশন।
এদিকে শনিবারের কার্যক্রমও ছিল দুই পর্বের। প্রথম অংশে ছিল উদ্বোধন এবং বিদেশি অতিথি ও দলের শীর্ষনেতাদের বক্তব্য। দুপুরে মধ্যাহ্ন বিরতির পর দ্বিতীয় পর্বে শুরু হয়েছে কাউন্সিল অধিবেশন।দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে সাংগঠনিক জেলাগুলোর লিখিত সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। বক্তব্য দেন আমন্ত্রিত রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা ও আওয়ামী লীগের বিভাগীয় প্রতিনিধিরা। এছাড়া সারাদেশ থেকে ছয় হাজার ৫৭০ জন কাউন্সিলর ও সমসংখ্যক ডেলিগেট সম্মেলনে অংশ নেন।
সকালে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হাজার হাজার দলীয় নেতাকর্মী, আমন্ত্রিত দেশি-বিদেশি অতিথিদের উপস্থিতিতে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুই দিনব্যাপী আওয়ামী লীগের ২০তম এ জাতীয় সম্মেলনের প্রথম দিনে কাউন্সিলর, ডেলিগেট ছাড়াও ১২টি দেশের ৫৫ জন অতিথি যোগ দেন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান নাদিম বিবার্তাকে জানান, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত ১৯টি সম্মেলন করেছে আওয়ামী লীগ। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের জন্য ৭টি বিশেষ সম্মেলনও হয়েছে। এই সম্মেলনের মাধ্যমে দলের ভবিষ্যত নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়। তাছাড়া সংকটকালে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য বিশেষ সম্মেলন করে থাকে দলটি।
১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে দলীয় সভাপতি হয়েছেন সাত জন এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন নয় জন। এর মধ্যে বর্তমান সভাপতি শেখ হাসিনা সর্বোচ্চ সাতবার সভাপতি এবং সবচেয়ে বেশি চারবার করে সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিল্লুর রহমান।
১৯৪৯ সালের ২৩ ও ২৪ জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে গণতান্ত্রিক কর্মী সম্মেলনের মাধ্যমে জন্ম নেয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ। পরে ১৯৫৫ সালের তৃতীয় জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে সব ধর্ম-বর্ণের প্রতিনিধি হিসেবে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয় আওয়ামী লীগ।