মাত্র ২৭ রান যোগ করতে বাংলাদেশ হারালো শেষ ৫ উইকেট। ৫ উইকেটে ২২১ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করা স্বাগতিকরা অলআউট হয়ে গেছে ২৪৮ রানে। তাই প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের চেয়ে পিছিয়ে থাকলো ৪৫ রানে।
তৃতীয় দিনের শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ঠিক যেন দ্বিতীয় দিনের মতো। গতকাল দিনের প্রথম বলে আউট হয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ক্রিস ওকস। আর আজ শনিবার তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় বলে আউট হয়ে গেলেন সাকিব আল হাসান! মঈন আলীর বলে উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টোর গ্ল্যাভসে ধরা পড়েন সাকিব। আউট হওয়ার আগে করেছেন ৩১। তার আউটে বাংলাদেশ হারায় ষষ্ঠ উইকেট। বাংলাদেশের ধসের শুরুটাও ওখান থেকেই।
তৃতীয় দিনের আঘাতের শেষটা যে এখানেই নয়। উইকেট হারানোর মিছিলে সাকিবের পর যোগ দেন শফিউল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ‘নাইট ওয়াচম্যান’ হিসেবে নামা শফিউল ২ রান করে আউট হয়েছেন আদিল রশিদের বলে। আর বল হাতে অভিষেক টেস্টে আলো ছড়ানো মিরাজ ব্যাট হাতে করতে পারেননি কিছুই। মাত্র ১ রান করে বেন স্টোকসের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফেরেন প্যাভিলিয়নে।
আশার আলো হয়ে তবু ছিলেন সাব্বির রহমান। মিরাজের মতো তারও যে অভিষেক হয়েছে এই ম্যাচ দিয়ে। ওয়ানডেতে ঝড় তোলা এই ব্যাটসম্যান পাঁচ দিনের ক্রিকেটে কি করেন, সেটাই ছিল তখন দেখার। বিপর্যস্ত বাংলাদেশকে টেনে তোলার দায়িত্বও তখন তার কাঁধে। কিন্তু পারলেন না, অভিষেক টেস্টে পুরোপুরি ব্যর্থ সাব্বির। মাত্র ১৯ রান করে তিনি ফেরেন প্যাভিলিয়নে। বেন স্টোকসের বলে ব্যাটের কানায় লেগে ধরা পড়েন তিনি স্লিপে দাঁড়ানো অ্যালিস্টার কুকের হাতে। তখনই আসলে শেষ হয়ে যায় সব আশা, যার আনুষ্ঠানিকতা ইংল্যান্ড সেরেছে কামরুল ইসলাম রাব্বির উইকেট নিয়ে। তৃতীয় দিনে আউট হওয়া ৫ উইকেটের তিনটিই নিয়েছেন স্টোকস, সব মিলিয়ে ২৬ রানে তার শিকার ৪ উইকেট। আর মঈন আলী ৭৫ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
এর আগে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ২২১ রানে। আর ইংল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে ২৯৩ রানে।