স্পোর্টস ডেস্ক :‘বুড়ো হারের ভেলকি’ কথাটা পাকিস্তানের বর্তমান টেস্ট দলের সাথেই বোধ হয় সবচেয়ে বেশি মানায়। বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দলের অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক আর বর্ষীয়ান ক্রিকেটার ইউনুস খান প্রতিনিয়ত যা করে চলছেন, তাতে বয়স নিছক একটি সংখ্যা ছাড়া আর কিছু নয় তাদের কাছে।
শুক্রবার আবুধাবিতে আরো একবার নিজেদের দক্ষতার স্বাক্ষর রাখলেন এই দুই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। দিনের তৃতীয় সেশনের শুরুতেই ইউনুস খান পুর্ণ করেন টেস্ট ক্যারিয়ারে ৩৩ তম সেঞ্চুরি। ১০৯ টেস্টে ৩০টি হাফ সেঞ্চুরিরও রয়েছে তার।
৩৮ বছর ৩২৭ দিন বয়সী ইউনুস এই সেঞ্চুরির মাধ্যমে ৩৫ বছর বয়সের পর করা সেঞ্চুরির সংখ্যায় সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন। ৩৫ বছরের পর এটি ১৩ তম টেস্ট সেঞ্চুরি তার। এর আগে ৩৫ বছরের পর ১২টি করে টেস্ট সেঞ্চুরি করার রেকর্ড ছিল শচিন টেন্ডুলকার, গ্রাহাম গুচ ও রাহুল দ্রাবিরের।
আজ ১৭৫ রানের জুটি গড়েও নতুন রেকর্ড গড়েছেন ইউনুস-মিসবাহ। আজকের ইনিংস নিয়ে এটি তাদের ১৫তম শতরানের জুটি। আগের রকর্ড ছিল অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং ও জাস্টিন ল্যাঙ্গারের(১৪টি)।
একই সাথে পাকিস্তানের পক্ষে জুটি বেধে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এখন তাদের দখলে। ৪৯ টেস্ট ইনিংসে এই জুটি রান করেছেন ৩১৫৬। রেকর্ড তালিকার দ্বিতীয় স্থানেও অবশ্য ইউনুস খানের নামটি রয়েছে। আরেক পাকিস্তানি ব্যাটিং লিজেন্ড মোহাম্মদ ইউসুফের সাথে ৪২ ইনিংসে জুটি বেধে ইউনুস করেছেন ৩১৩৭ রান।
আজ ব্যাটিং করতে নামার সময় মিসবাহ উল হক ও ইউনুস খানের বয়স একত্রে ছিল ৮১ বছর ১০৮ দিন। এ বিষয়ক কোন পরিসংখ্যান না থাকলেও এটি সবচেয়ে বেশি বয়সের জুটি। এর আগে ২০১১-১২ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতের শচিন টেন্ডুলকার ও রাহুল দ্রাবির সম্মিলিত ৭৬ বছর বয়স নিয়ে ব্যাটিং করেছিলেন।
এই জুটির সুবাদে পাকিস্তান টেস্টের প্রথম দিন শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩০৪ রান করেছে। ইউনুস খান ১২৭ রান করে আউট হলেও মিসবাহ অপরাজিত আছেন ৯০ রানে।