প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর যে আদর্শ দিয়ে গেছেন সেই আদর্শের পথেই আওয়ামী লীগ চলছে। আওয়ামী লীগের ২০তম কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিন এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের প্রবীন নেতাসহ বঙ্গবন্ধুর শেখ মজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, আমি তৃণমূলের নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই যারা আত্মত্যাগের মধ্যে দলকে টিকিয়ে রেখেছেন।
বাংলাদেশের উন্নয়নের পরিকল্পনা ও লক্ষ্য বর্ননা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৮ থেকে ১০ শতাংশে নিয়ে যাব। বাংলাদেশে আর কোন নারী-পুরুষের বৈষম্য থাকবে না তা আমরা নিশ্চিত করে যাব।
তিনি বলেন, আমরা স্বাধীনতার সুফল প্রত্যেক মানুষের কাছে পৌঁছে দেব। শতভাগ মানুষের কাছে নাগরিক সুবিধাসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সচেষ্ট থকবো। এছাড়া তথ্য প্রযুক্তির সমস্ত সুবিধা দেশের প্রত্যেক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই।
এর আগে, পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আওয়ামী লীগের ২০তম কাউন্সিল।
শনিবার ভোর থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে আগত কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সম্মেলন স্থলে আসতে শুরু করে। তারা সারিবদ্ধভাবে অনুষ্ঠান স্থলে প্রবেশ করছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের তল্লাশি করা হচ্ছে।
সকাল ১০টা থেকে কাউন্সিল শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক মো. নাসিম টিএসটি গেট থেকে কাউন্সিল ও ডেলিগেটদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বলে।
সম্মেলন স্থলে প্রবেশের জন্য কাউন্সিলরদের জন্য ৪টি গেট নির্ধারিত থাকলেও এখন পর্যন্ত তাদের বেশি প্রবেশ করতে দেখা গেছে রমনা কালিমন্দির ও টিএসটি গেট দিয়ে। সম্মেলন উপলক্ষ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশেপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে এরই মধ্যে গাড়ি চলাচল সীমিত করা হয়েছে। এছাড়া পল্টন থেকে শাহবাগ আসার সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই লোকজন বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করছেন।
এছাড়া সাইন্সল্যাব মোড় থেকে এলিফ্যান্ট রোডের দিকে যান চলাচল শনিবার সকাল ৭টা থেকেই বন্ধ। পথচারীদের তল্লাশি করে যেতে দেওয়া হচ্ছে সে পথে। মিরপুর-১ ও গাবতলী থেকে আসা বাস আসাদগেট হয়ে ফার্মগেট যেতে পারছে না। আবার শুক্রাবাদ থেকে পান্থপথ হয়েও কাওরানবাজার বাসে করে যাওয়ার সুযোগ নেই। ফলে কাওরানবাজার যেতে হলে আসাদগেট থেকে হেঁটে যেতে হবে।