নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন আগামীকাল শনিবার। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুই দিনব্যাপী জৌলুশপূর্ণ এ সম্মেলন হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের এবারের সম্মেলনকে দেশের রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ সম্মেলন হিসেবে উল্লেখ করেছেন রাজনীতিকসহ বিশ্লেষকেরা।
সম্মেলন উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল ও নান্দনিক বর্ণাঢ্য সাজে। আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে রাজধানীর সব দর্শনীয় স্থান। তোরণে তোরণে ছেয়ে গেছে পুরো মহানগরী।
শুধু তা-ই নয়, সম্মেলন উপলক্ষে দেশের সব জেলা আওয়ামী লীগ অফিসও সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে।
সম্মেলনের ঠিক আগ মুহূর্তে দলের নেতৃত্ব নিয়েও জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
দলীয় সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা অপ্রতিদ্বন্দ্বী থাকলেও সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ নিয়ে চলছে শেষ মুহূর্তের নানা হিসাব-নিকাশ। শেষ চমকের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন দলটির কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
এবারের সম্মেলনের শ্লোগান তৈরি করা হয়েছে অনেক আগেই। ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছি দুর্বার, এখন সময় বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার’ শ্লোগানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সম্মেলন।
সকাল ১০টায় বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের মাধ্যমে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
থিম সংয়ের সাথে উদ্বোধন, সব জেলার পতাকা উত্তোলন, শোক প্রস্তাব পাঠ, অভ্যর্থনা উপকমিটির বক্তব্য, আগত অতিথি ও বিদেশী অতিথিদের ভাষণ, সভাপতির ভাষণ, সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট পেশ, খাবার বিরতি, জেলা নেতাদের বক্তব্য, সন্ধ্যায় নাচ-গান, পরদিন সকাল ১০টায় কাউন্সিলরদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক, কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব গ্রহণ, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন, খাবার বিরতি এবং বিকেলে নতুন কমিটি ঘোষণা- এসব রয়েছে এবারের সম্মেলনসূচিতে।
নানা বিবেচনায় আওয়ামী লীগের এবারের জাতীয় সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং পেয়েছে ভিন্ন মাত্রা।
বিগত যেকোনো সম্মেলনের চেয়ে এবারের প্রস্তুতিও ব্যাপক, বহুমুখী ও জাঁকজমকপূর্ণ।
এ সম্মেলনকে ঘিরে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সাজ সাজ রব উঠেছে। দলীয় পদ-পদবির জন্য দৌড়ঝাঁপ চলছে পদপ্রত্যাশী নেতাদের।
সময়ের চাহিদা, জনবল এবং বিভাগ বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের কলেবর ৭১ সদস্য থেকে বাড়িয়ে ৮১ সদস্য করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যেই গঠনতন্ত্র প্রণয়নবিষয়ক উপকমিটি উত্থাপিত সংশোধিত গঠনতন্ত্রের চূড়ান্ত সম্মতি দেয়া হয়েছে।
সংশোধিত গঠনতন্ত্রে কার্যনির্বাহী সংসদের আকার ৭৩ থেকে ৮১ সদস্যবিশিষ্ট করার প্রস্তাব করা হয়।
এতে প্রেসিডিয়ামের চারটি, একটি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, একজন সাংগঠনিক সম্পাদক এবং দুইজন সদস্য বাড়ানোর সুপারিশে সম্মতি দেয় কার্যনির্বাহী সংসদ।
বুধবার অনুষ্ঠিত দলের বর্তমান কার্যনির্বাহী সংসদের সর্বশেষ বৈঠক সম্মেলনের শেষ সেশন পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। এ বৈঠকে অনুমোদন করা হয়েছে সম্মেলনের ছয় হাজার ৭০০ জন কাউন্সিলর ও সমসংখ্যক ডেলিগেট তালিকা।
আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নকর্মকাণ্ড এবং ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের ঘোষণাপত্র। সম্মেলনে কাউন্সিলররা সংশোধিত গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র অনুমোদন করবেন।
সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনকে চেয়ারম্যান এবং ড. মশিউর রহমান ও সাবেক সচিব রাশিদুল আলমকে সদস্য করে এ কমিশন গঠন করা হয়েছে।
এ দিকে সম্মেলনক্ষণ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে দলের নেতৃত্ব নিয়ে নানা গুজবের ডালপালা বিস্তার ঘটতে থাকে।
দলীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে এবার কোনো পরিবর্তন আসছে না, এমন খবর বুধবার দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের পর থেকেই পরিবর্তিত হতে থাকে।
এ সময় খবর ছড়িয়ে পড়ে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন।
দলের সভাপতি তাকে গ্রিন সিগন্যালও দিয়েছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
এমন গুঞ্জনের পর কাউন্সিলের ঠিক আগ মুহূর্তে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
দলের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসছেন ওবায়দুল কাদের। বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যেই চলছে মিষ্টি বিতরণ। দলের হবু এ সাধারণ সম্পাদকের পেছনে এখন শোভা পাচ্ছে বিশাল গাড়িবহর।
তবে অনেক কেন্দ্রীয় নেতাই বিষয়টিকে উড়িয়ে দিচ্ছেন।
তাদের মতে, কাউন্সিলের ঠিক আগ মুহূর্তে এমন অনেক গুজবই ডালপালা মেলে থাকে। এটিও তার ব্যতিক্রম নয়। আর দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা অনেক পরিপক্ব একজন রাজনীতিক। তিনি নানাভাবে মাঠ যাচাই করে নেতাদের তৎপরতা দেখেন। আর শেষ মুহূর্তে অনেক বড় ধরনের চমক উপহার দেন। সেটি বিবেচনায় সৈয়দ আশরাফ আবারো সাধারণ সম্পাদক পদে থাকতে পারেন। এ ছাড়া আরো বড় ধরনের চমক দিতে চাইলে এ দুইজনের বাইরে দলের অন্য কোনো নেতাকেও এ পদে বসাতে পারেন। তবে শেষ দেখার জন্য রোববার পর্যন্ত সবাইকে অপেক্ষা করতে হবে।
এ দিকে সাড়ম্বরে সম্মেলন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্থাপন করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন নৌকা আকৃতির বিশাল মঞ্চ। সাজানো হয়েছে পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ আশপাশের এলাকা।
আলোকসজ্জার পাশাপাশি গাছগুলোতে করা হয়েছে সাদা লাল নীল রঙ। মঞ্চে যাওয়ার রাস্তাগুলোয় আলোকসজ্জার পাশাপাশি সম্মেলনের পোস্টার-ব্যানার দিয়ে আচ্ছাদিত করা হয়েছে।
এরই মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের জেলা-উপজেলার উল্লেখযোগ্য সড়ক, স্থান ও স্থাপনা সাজানো হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে অসংখ্য তোরণ। করা হয়েছে আলোকসজ্জা। সন্ধ্যা হলেই লাল-নীল আলোয় রঙিন হয়ে উঠছে শহর-বন্দর-রাজপথ।
একইভাবে আওয়ামী লীগের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, দলীয় সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবন এবং তার সরকারি কার্যালয়সহ রাজধানীর উল্লেখযোগ্য সড়কগুলো বিভিন্নভাবে সাজানো হয়েছে। সারা দেশের দলীয় কার্যালয়গুলোও সম্মেলন উপলক্ষে সাজানো হয়েছে।
এবারই প্রথম ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টারে বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয় ছাড়া অন্য দলীয় নেতাদের ছবি ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। দলীয় নির্দেশ কঠোরভাবে এবার মানা হয়েছে।
কোনো কোনো পোস্টারে এবার শেখ রেহানা, তার ছেলে ববি ও পুতুলের ছবিও ব্যবহৃত হয়েছে। সম্মেলনের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ঘিরে গড়ে তোলা হয়েছে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এ ছাড়া উদ্যানের চারপাশের রাস্তা, নগরীর সবক’টি প্রবেশ পথ এবং অন্যান্য স্থানেও নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। রঙবেরঙের কাপড় দিয়ে সাজানো হয়েছে পুরো সম্মেলনস্থল। মঞ্চের দুই পাশে রাখা হয়েছে দলীয় সাবেক নেতাদের প্রতিকৃতি।
ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্মেলনস্থলে উপস্থাপন করা হবে আওয়ামী লীগের ইতিহাস, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নের চিত্র। মঞ্চের সামনে ১৫ হাজার অতিথির বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য দেশী-বিদেশী অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিশ্বের ১১টি দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৫৬ জন প্রতিনিধি সম্মেলনে যোগ দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দেশে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল, বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বিভিন্ন সংগঠনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিদেশী অতিথিদের বরণ করতে গঠন করা হয়েছে ২০ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি, যারা সম্মেলনস্থলে ফুল দিয়ে তাদের বরণ করে নেবেন।
এ ছাড়া এসব অতিথিকে চমকে দেয়ার জন্য আছে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি। তাদের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে হোস্ট অফিসার এবং করা হয়েছে গেস্ট কার্ড।
সম্মেলনে আগতদের আপ্যায়নের খাদ্য উপকমিটি নিয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠেয় এ সম্মেলনে আগত কাউন্সিলর, ডেলিগেট এবং অতিথিদের তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থা করবে তারা। এরই মধ্যে ঐতিহ্যবাহী পুরান ঢাকার ক্যাটারিং সার্ভিসকে খাবার সরবরাহের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মোরগ-পোলাও, কাচ্চি বিরিয়ানি, ফিরনি, কোমল পানীয়, পানি ও পান-সুপারি দিয়ে আপ্যায়িত করা হবে আগতদের। চার হাজার স্বেচ্ছাসেবক সম্মেলন সম্পন্নের জন্য শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করবে।
সম্মেলনস্থলে স্বাস্থ্য ক্যাম্প গড়ে তোলার পাশাপাশি রাজধানীর বাসস্ট্যান্ড ও ট্রেন স্টেশনগুলোতে থাকছে স্বাস্থ্য ক্যাম্প। প্রতিটি ক্যাম্পে চিকিৎসকের পাশাপাশি প্রাথমিকভাবে কাজে লাগে এমন সব ধরনের ওষুধ সরবরাহের ব্যবস্থা থাকবে। সম্মেলনস্থলে থাকবে একাধিক অ্যাম্বুলেন্স।
সম্মেলনের উদ্বোধন অধিবেশন এবং প্রথম দিন সন্ধ্যায় থাকছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এরই মধ্যে থিম সং গেয়েছেন জনপ্রিয় গায়ক বাপ্পা মজুমদার। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি তা পরিবেশন করবেন। এ ছাড়া থাকবে জাতীয় সঙ্গীত, দেশাত্মবোধক গান, নাচ, কবিতা আবৃত্তি এবং বিভিন্ন উপজাতির নিজ নিজ সংস্কৃতির গান ও নাচ।
এবারের সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ পদে আলোচনায় যারা : এ দিকে দলের সম্ভাব্য কমিটি নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। দলে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা এবং প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়সহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্য কোনো সদস্য।
সাধারণ সম্পাদক পদে সৈয়দ আশরাফ ও ওবায়দুল কাদেরের নাম সবার মুখে মুখে। ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক হলে সৈয়দ আশরাফ প্রেসিডিয়ামে যাচ্ছেন। তার সাথে দলের দুই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এবং ডা: দীপু মনিও প্রেসিডিয়ামে যাবেন। আর সৈয়দ আশরাফ সাধারণ সম্পাদক পদে বহাল থাকলে হানিফও বর্তমান পদে বহাল থাকবেন। এ ছাড়া প্রেসিডিয়ামে ঢুকতে পারেন কৃষি ও সমবায় সম্পাদক সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক কর্নেল (অব:) ফারুক খান, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, নির্বাহী সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া প্রমুখ।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আসতে পারেন বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও সোহেল তাজ।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আলোচনায় আছেন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য সুজিত রায় নন্দী, এনামুল হক শামীম, আমিনুল ইসলাম আমিন, এস এম কামাল হোসেন, পাট ও বস্ত্রপ্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, পরিবেশ ও বনউপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।
এ ছাড়া পদোন্নতির তালিকায় থাকা অন্য নেতারা হলেন প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা: বদিউজ্জামান ডাবলু, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, উপপ্রচার সম্পাদক অসীমকুমার উকিল, উপদফতর সম্পাদক মৃণালকান্তি দাস, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু প্রমুখ।
কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, যুব মহিলা লীগ সভাপতি নাজমা আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদার, অভিনেত্রী শমী কায়সার, ডা: নূজহাত চৌধুরী, উমা চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা মনিরুজ্জামান মনিরসহ আরো অনেকে।
২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বর্তমান কার্যনির্বাহী সংসদের মেয়াদ গত ডিসেম্বরে শেষ হয়েছে। ওই সময় পৌর নির্বাচনের কারণে সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি।
পরে গত ৯ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে ২৮ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২০তম সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সেটি পিছিয়ে ১০ ও ১১ জুলাই করা হয়।
কিন্তু ঈদুল আজহার কারণে সেটিও সম্ভব না হওয়ায় শনিবার এ সম্মেলন শুরু হচ্ছে।