নিজস্ব প্রতিবেদক : ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানোয় ধন্যবাদ জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বিএনপির কাউন্সিলে তারা (আওয়ামী লীগ) এলে খুশি হতাম।’বিএনপির গত কাউন্সিলে আমন্ত্রণ জানানো হলেও আওয়ামী লীগ না আসায় বিষয়টিকে ‘দুঃখজনক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি।বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
এর কিছুক্ষণ আগে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাসের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে এই আমন্ত্রণপত্র দেন। তারা মির্জা ফখরুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন।
গত ১৯ মার্চ রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানালেও দলটির কোনো প্রতিনিধি সেখানে যাননি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলনে উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও আমাদেরকে আমন্ত্রণ জানানোয় তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমরা খুশি হতাম যদি তারা বিএনপির কাউন্সিলে আসতেন। দুঃখজনক হলে সত্য তারা শুধু আসেননি, বিভিন্নভাবে বিএনপির কাউন্সিলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির প্রত্যাশা করেছিল অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মত আওয়ামী লীগ বিএনপির কাউন্সিলে আসবেন গণতান্ত্রিক রাজনীতি পরিবর্তনের নতুন ধারার সূচনা করবেন। কারণ তারাই বর্তমানের ক্ষমতায় আছেন।’
আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বিএনপির যোগদানের প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি ইতিবাচক রাজনীতি করে এবং বিশ্বাস করে। আমন্ত্রণ পেয়েছি। কিভাবে অংশগ্রহণ করবো সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
আওয়ামী লীগ সঠিক রাজনীতির মূল সংকটাই ধরতে পারছেন না মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মূল সংকট নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচন প্রক্রিয়া। যে পদ্ধতিতে নির্বাচন নিয়ে আসছেন এভাবে কোনো দিনই জনগণের সঠিক প্রতিনিধিরা প্রতিনিধিত্ব করতে সক্ষম হবে না। সেটা কখনো জনগণের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে না।’
মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন শামসুজ্জামান দুদু, মাহবুব উদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হারুনুর রশীদ, বিলকিস জাহান শিরিন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, মাহবুবুর রহমান শামীম, জয়নাল আবেদীন, অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, কায়সার কামাল, আমিনুল হক, এবিএম মোশাররফ, আবদুল মোমিন তালুকদার খোকা, শরীফুল আলম, আবদুস সালাম আজাদ, মাহবুবুল হক নান্নু, আমিরুল ইসলাম আলিম, জয়ন্ত কুণ্ড, শহিদুল ইসলাম বাবুল, শাহিন শওকত, আবদুল আউয়াল খান, আকন কুদ্দুসুর রহমান, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
অঙ্গসংগঠনের নেতাদের মধ্যে ছিলেন ইউনুস মৃধা, সুলতানা আহমেদ, হাফেজ আবদুল মালেক, শাহ নেসারুল হক, রফিকুল ইসলাম মাহতাব, আবুল কালাম আজাদ, আবুল হোসেন, রাজীব আহসান প্রমুখ।