নিজস্ব প্রতিবেদক : হবিগঞ্জের বাহুবলে দ্বীননাথ মডেল স্কুল জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৪ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা থানা ভাঙচুর করে।
বুধবার এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে দুই শিক্ষক, এক ছাত্র ও এক অভিভাবকে আটক করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন- দ্বীননাথ স্কুলের সহকারী শিক্ষক অশোক দাস ও গোলাম মহিউদ্দিন, দশম শ্রেণির ছাত্র জাহাঙ্গীর ও একজন অভিভাবক।
স্থানীয় লোকজন জানান, বাহুবল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সামছুন্নাহার পারভীনের ঘুষ-দুর্নীতির প্রতিবাদে বাহুবলের দ্বীননাথ ইনস্টিটিউশন ছদরুল হোসেন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকরা বুধবার বেলা ১১টায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় ঘেরাও করেন। এসময় ছাত্রছাত্রীরা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, বাহুবল মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী জিয়া উদ্দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান। এসময় উত্তেজিত ছাত্ররা পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ওপর জুতা ছুড়ে মারে।
পরিস্থিতি সামাল দেন বাহুবল উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই। তিনি উপস্থিত হয়ে সমস্যার সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দিলে ছাত্ররা স্কুলে ফিরে যাওয়ার পথে বাহুবল থানার সামনে গিয়ে উত্তেজিত হয়ে থানার ভেতরে ঢুকে হামলা চালায়। এসময় থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর চালায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করতে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় ১৪ ছাত্র গুলিবিদ্ধসহ ২০ জন আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বাহুবল মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ৯০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ১০ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, আটকদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেনকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে এবং সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়কে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্তও কমিটি গঠন করা হয়েছে।