‘বর্তমান সংসদ জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় এবং তারা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন না’- চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশ সরকারকে এমনই বার্তা দিয়ে গিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, আমি মনে করি, সি জিনপিং’র এই সফর রাষ্ট্রপতির সফরের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। তিনি সরকারকে পরিকল্পিতভাবে ম্যাসেজ দিয়ে গিয়েছেন। সেই কারণে এই সফর ভূ-আঞ্চলিক রাজনীতি হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া তিনি বর্তমান বিরোধী দলের নেত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেননি। কারণ চীনের প্রেসিডেন্ট জানেন, জনগণের নেত্রী হচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বর্তমান বিরোধী দলের নেত্রী নন। সেই কারণে চীনের প্রেসিডেন্ট সরকারকে ইঙ্গিত ও ইশায় বলেছেন, জনগণই তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন জাগপা’র সভাপতি শফিউল আলম প্রধান।
‘চীনের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর-ভূ-আঞ্চলিক রাজনীতির নতুন বার্তা’ শীর্ষক এ সভায় তিনি বলেন, চীনের রাষ্ট্রপতি মূল বার্তা ছিল, বাংলাদেশের সকল সংকটে চীন আমাদের পাশে থাকবে। এই কারণে তার ‘সি জিনপিং’ এই সফরে তিনি ২৭ টি চুক্তিকে স্বাক্ষর করে গিয়েছেন। জনগণ ও বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এই সকল চুক্তি প্রযোজ্য। সুতরাং বিএনপি প্রত্যাশা করে, সকল স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে দু’দেশের জনগণের উন্নয়নের জন্য এ সকল চুক্তি বাস্তবায়ন করা হবে।
মোশাররফ হোসেন বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট সরকারকে আরও একটি বার্তা দিয়ে বলেছেন, সরকার আসে যায়। তাই চীনের কাছে জনগণই বেশী গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং জনগণকে শোষণ নয়।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য বিএনপি সরকার এশিয়া হাইওয়ে প্রকল্প হাতে নিয়েছিল। এর ফলে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও উন্নত হতো। কিন্তু পরবর্তী রাষ্ট্রক্ষমতায় না থাকার কারণে ওই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভভব হয়নি। এসময় তিনি এশিয়া হাইওয়ে বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
চীনের বৈদেশিক নীতিকে বিএনপি বিশ্বাস করে জানিয়ে মোশাররফ বলেন, ছোট-বড় মিলেমিশে থাকতে হবে। সুতরাং একে অপরে সঙ্গে যুদ্ধ নয়। চীনের এই নীতিসহ সকল নীতিতে আমরা বিশ্বাসী।
বাংলাদেশের উপর অনেকের শোনদৃষ্টি রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে কম মূল্য পাওয়া যায় এবং আমাদের বঙ্গপোসাগর রয়েছে। সেই কারণে আমাদে ওপর অনেকে দৃষ্টি রয়েছে।