বিনোদন ডেস্ক : ‘সালমান আমার গায়ে হাত পর্যন্ত তুলত। অনেকবার আমাকে মেরেছে। সৌভাগ্যবশত সেইসব মারের দাগ আমার শরীর থেকে মুছে গেছে। সালমানের হাতে নিগৃহীত হয়েও আমি মুখ বুজে আমার অভিনয় চালিয়ে গেছি।’
প্রেম সম্পর্কে কিংবা দাম্পত্য জীবনে পুরুষ সঙ্গীর হাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয় বহু মেয়েকেই। অনেক সময় সেই ধরনের নির্যাতনের হাত থেকে মুক্তি পান না বলিউড তারকারাও। এমনকী ঐশ্বরিয়া রাইকেও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। তিনি নির্যাতিতা হয়েছিলেন আর এক সুপারস্টার সালমান খানের হাতে।
১৯৯৭ সালে সালমান-ঐশ্বরিয়ার প্রেমের সূচনা। সেই সময়ে বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া বলিউডে নিজের জায়গা তৈরি করে নেয়ার জন্য লড়ছেন। সালমানের সঙ্গে তখন পাকিস্তানি সুন্দরী সোমি আলির প্রেম চলছে। কিন্তু ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে আলাপ হওয়ার পরেই তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হন সালমান। শোনা যায়, ‘যোশ’ সিনেমার নায়ক হিসেবে প্রথমে সালমানকেই নির্বাচন করেছিলেন প্রযোজকরা। কিন্তু ঐশ্বরিয়ার দাদার ভূমিকায় অভিনয় করতে হবে শুনে পিছিয়ে আসেন সালমান। পরে ওই ভূমিকায় অভিনয় করেন শাহরুখ খান। ঐশ্বরিয়াকে বেশ কিছু প্রযোজক-পরিচালকের সঙ্গে সালমান আলাপ করিয়ে দেন, কাজ পেতেও সাহায্য করেন। শেষ পর্যন্ত ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করার সুযোগ মিলে যায় দু’জনের। অভিনয় করতে করতে আরও কাছাকাছি চলে আসেন তাঁরা। সোমির সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে সালমানের, এবং শেষমেশ তাঁদের ব্রেক আপও হয়ে যায়।
সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কে চিড় ধরে যখন ঐশ্বরিয়ার বাবা-মা সালমানের সঙ্গে মেয়ের বিয়েতে আপত্তি জানান। কিন্তু ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা সালমান এত সহজে মেনে নিতে প্রস্তুত ছিলেন না। ঐশ্বরিয়ার বাড়ির সামনে একদিন রাত্রে মদ্যপ অবস্থায় বিস্তর চেঁচামিচি করেন সালমান। অভিষেক-ঐশ্বরিয়া যখন ‘কুছ না কহো’ ছবির শ্যুটিং করছেন তখন সেটে গিয়ে গোলমাল পাকান সালমান। একই ঘটনা ঘটে শাহরুখ অভিনীত ‘চলতে চলতে’ ছবির সেটেও। ঐশ্বরিয়াকে বাঁচাতে গিয়ে সালমানের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন শাহরুখও। শেষে ঝামেলা এ়ড়াতে ঐশ্বরিয়াকে বাদ দিয়ে রানি মুখোপাধ্যায়কে ‘চলতে চলতে’র হিরোইন হিসেবে নির্বাচন করেন শাহরুখ। আস্তে আস্তে দূরত্ব বাড়তে থাকে ঐশ্বরিয়া আর সালমানের। শেষ পর্যন্ত দু’জনের সংযোগ একেবারেই ছিন্ন হয়ে যায়।
পরে একটি নামজাদা দৈনিককে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে ঐশ্বরিয়া জানান, ‘সলমন আমার গায়ে হাত পর্যন্ত তুলত। অনেকবার আমাকে মেরেছে। সৌভাগ্যবশত সেইসব মারের দাগ আমার শরীর থেকে মিলিয়ে গেছে। সালমানের হাতে নিগৃহীত হয়েও আমি মুখ বুজে আমার অভিনয় চালিয়ে গেছি।’ কিন্তু সেই সময়ে মুখ বুজে থাকলেও পরে এই নিয়ে সরব হন ঐশ্বরিয়া। আর এখন তো অভিষেকের সঙ্গে চুটিয়ে সংসার করছেন এই প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী। সালমান-অধ্যায় তাঁর কাছে এখন অতীত মাত্র।সূত্র: এবেলা