লাইফস্টাইল ডেস্ক :বয়স সন্ধিক্ষণের ‘নাইট ক্যুইন’ কিংবা এমন এক নারী যিনি বইয়ের পাতা বেয়ে শরীরে বইয়ে দিয়েছেন বারুদ এবং এখনও দুষ্টু-ইচ্ছা জাগাচ্ছেন এমন একটা কাল্পনিক চরিত্রের নাম বলতে বলা হলে সবার আগে যে নামটা আসে তিনি ওয়ান অ্যান্ড অনলি ভাবীজান মানে ‘সবিতা ভাবী’! বিংশ শতকে তখনও সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন নেই। এত রমরমাও নেই পর্ন সাম্রাজ্যের।
১৯৯১ সালের পুজা বেদীর কন্ডোম বিজ্ঞাপনই তখন যুবকের যৌন যখেরধন সোর্স অফ সুড়সুড়ি। পাঠ্য পুস্তকের মাঝে সবিতা ভাবীর চটি বই লুকিয়ে অধ্যায়ের পর অধ্যায় মন দিয়ে পড়ে যাওয়া, থুরি, ভাবিজানকে দেখে যাওয়া- সে যেন এক গুপ্তধনের খোঁজ।
সময়ের সঙ্গে প্রযুক্তি যত এগিয়েছে হাতে হাতে এসেছে মোবাইল ফোন, বেড়েছে ইন্টারনেটের দাপট, চাহিদাও দ্বিগুণ হয়েছে প্রিয়া রাই, মিয়া খালিফা, সানি লিওনের। বইয়ের পাতায় যৌনতার রস, মোহাচ্ছন্নতা যেন দিন দিন আধুনিক থেকে আরও আধুনিক। এখন ভাবী আরও কাছে, আঙুলের ছোঁয়ায়। তবে সবিতা এখন আর কবিতা হন না, সেই কবিতা ডিজিটাল ডালপালায় আটকে গেছে! গল্পের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সাহিত্য এখন যেন বস্তা পচা একটা স্রেফ যৌন সুড়সুড়ির গল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ফেসবুক আর টুইটার যুগে রগরগে ভিডিও, ছবি পেয়ে বই বিমুখ হয়েছে নওজওয়ানরা। বিলুপ্তিও ঘটছে কাল্পনার সবিতা ভাবীর। আর এই জায়গা দখলেই নেমে পড়েছে মনসি ভাবী। হ্যাঁ। ইনি এখন টুইটারে ‘রং রসিয়া’। হিন্দি ভাষীদের মহলে মানসি মন জিতেছে অনেকের। উত্তেজক উত্তেজক ছবি আর ভিডিওতে ভরা তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট ফলো করছেন ৫০০০ জন। মানসি নিজেও বলছেন, “আমাকে ফলো করো আমিই সবিতা ভাবীর ভবিষ্যৎ”।
কিন্তু তিনি হয়ত ভুল করছেন একটাই, সবিতা হতে পারলেও তিনি কবিতা হতে পারবেন না।