আন্তর্জাতিক ডেস্ক :আর মাত্র ৬ দিন পরই প্রথমবার প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটে অংশ নিচ্ছেন হিলারি ক্লিনটন ও ডনাল্ড ট্রাম্প। এবারের এ বিতর্কে অগ্রাধিকার পাবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা। বিশেষ করে নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সিতে বোমা হামলা বা পেতে রাখার পর ক্ষমতাসীন সরকারকে ঘায়েল করতে এটাকেই মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবেন ডনাল্ড ট্রাম্প।
আগামী ২৬শে সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কের হফস্ট্রা ইউনিভার্সিটিতে স্থানীয় সময় রাত ৯টায় তাদের মুখোমুখি এক মঞ্চে বিতর্কে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। এতে ভোটারদের মন জয় করতে দুটি ইস্যুতে গুরুত্ব দেবেন ট্রাম্প। তা হলো অভিবাসন ও সন্ত্রাস। নিউ ইয়র্কে বোমা হামলায় কেউ নিহত হন নি। কিন্তু যখন ট্রাম্প ও হিলারির মধ্যে বিতর্ক হতে যাচ্ছে তার আগে এমন একটি ঘটনা সন্ত্রাস ইস্যুতে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। ধরেই নেয়া হচ্ছে, বিতর্কে এটাই থাকবে মূল ইস্যু। ট্রাম্পের দৃষ্টিতে, সন্ত্রাসের এই নতুন ধারা সরাসরি জাতির মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। এই আতঙ্ককে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তিনি এটা করে দেখাতে চান যদি নভেম্বরের নির্বাচনে বিজয়ী হন। সোমবার ফ্লোরিডায় এক সম্মেলনে তিনি বলেছেন, এই শয়তানি কর্মকান্ড আমরা অব্যাহত দেখতে চাই না। নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সির ঘটনায় আফগান বংশোদ্ভূত আহমদ খান রাহামিকে আটক করার পর তিনি এ মন্তব্য করেছেন। ওদিকে শনিবার মিনেসোটায় একটি শপিং মলে ছুরিকাঘাত করে সন্ত্রাসীরা আহত করেছে ৯ জনকে।
এ হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস। হিলারিকে কিভাবে ঘায়েল করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ট্রাম্প তা বোঝা গেলেও হিলারির প্রস্তুতি সম্পর্কে এখনও স্পষ্ট ধারণা মিলছে না। তিনি এখনও ঠান্ডা মাথার পরিচয় দিচ্ছেন। তিনি সোমবার একটি বিমানবন্দরে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমি জানি কিভাবে এসব ইস্যুতে কথা বলতে হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে এসব হামলাকে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও তার মিত্র এক সময়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের সন্ত্রাস বিরোধী নীতির দুর্বলতা হিসেবে আখ্যায়িত করছেন ট্রাম্প। তাই তার পরামর্শ হলো যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে বেড়ে ওঠা ইসলামপন্থি সন্ত্রাস মোকাবিলা করা যাবে তখনই, যদি বিদেশীদের কট্টরপন্থি জয়ে ওঠার বিরুদ্ধে নীতি গ্রহণ করা হয়।
এক্ষেত্রে দ্রুতগতিতে অভিবাসন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। তার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এ ইস্যুটি বার বার ঘুরেফিরে এসেছে। তিনি সোমবার বলেছেন, বিদেশে হিলারি ক্লিনটনের সিদ্ধান্ত আমাদেরকে আজকের এই হুমকিমুলক পরিণতিতে নিয়ে এসেছে। তার অভিবাসন বিষয়ক নীতি এই হুমকি আমদানি করেছে যুক্তরাষ্ট্রে। আর তার ফল পাওয়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই যে, অভিবাসন বিষয়ক নিরাপত্তাই হলো জাতীয় নিরাপত্তা। ট্রাম্প আরও বলেছেন, আফগান বংশোদ্ভূত আহমদ খান রাহামি সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে সময় কাটিয়েছে। তাই যেসব দেশের সঙ্গে সন্ত্রাস জড়িয়ে আছে সেখানকার অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ থামানোর আহ্বান জানান তিনি।