নিজস্ব প্রতিবেদক : শেষ ইচ্ছা সিনেমায় হয়, বাস্তবে নয়। এ মন্তব্য করেছেন একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা মীর কাসেম আলী।বুধবার বিকেলে কারা অধিদফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন এ কথা জানান।
মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত খারিজ করে দেন। এর পরপরই ৬৩ বছর বয়সী যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি কার্যকরের সব ধরনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।আইজি প্রিজন বলেন, এরই মধ্যে মীর কাসেম আলীর সাথে তার আত্মীয়স্বজন দেখা করেছেন। তবে তার ফাঁসি কীভাবে কোথায় হবে, তা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ধারণা করা হচ্ছে, গাজীপুরের কেন্দ্রীয় কারাগারে মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর করা হতে পারে। কারণ সেখানে বেশ কয়েকজন জল্লাদকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করার জন্য সময় চেয়েছেন মীর কাসেম আলী।আইজি প্রিজন বলেছেন, প্রাণভিক্ষা চাওয়ার যৌক্তিক সময় মীর কাসেম আলীকে দেয়া হবে।তিনি বলেন, ফাঁসির খবর টেলিভিশনে সম্প্রচার না করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানানো হলো। কারণ, টেলিভিশন শুধু প্রাপ্তবয়স্করাই নন, শিশুরাও দেখে।
ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগার সম্পর্কে তিনি বলেন, জায়গাটিতে পার্ক ও জাদুঘর নির্মাণ করা হবে। এখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো হল নির্মাণ করা হবে না।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুব শিগগির পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শনে আসবেন বলেও জানান ইফতেখার উদ্দিন।