আজকের ভক্তরাই সেদিন বঙ্গবন্ধুর হত্যার পথ প্রশস্ত করেছিল : কাদের সিদ্দিকী
---
নিউজ ডেস্ক : কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, আজকে যারা বঙ্গবন্ধুর ভক্ত সেজেছেন তারাই তাকে হত্যার পথ প্রশস্ত করেছিল।
মঙ্গলবার বিকেলে ধানমণ্ডির বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে তিনি এক প্রতিক্রিয়া সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন।
বঙ্গবীর বলেন, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী সার্বজনীনভাবে সবার পালন করা উচিত। আমি ১৫ আগস্ট ঘর থেকে বের হইনি, কিছু খাইনি, কারও সঙ্গে দেখা করিনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার অনেক ভক্ত আসতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যখন কেউ কথা বলত না, গাছের পাতাও নড়ত না, সেই সময় আমি প্রতিবাদ করেছিলাম। দীর্ঘ ১৬ বছর নিজের ঘরে পা দিতে পারিনি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আজও বেঁচে আছি; এই অপরাধে দয়া করে যা খুশি তা প্রশ্ন করবেন না। ১৫ আগস্ট কেন এখানে আসেননি- একজন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কত দিন পর বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে এলেন সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘মাঝে মধ্যেই আসি, আপনারা খোঁজ রাখেন না। এখন হাতি পানিতে পড়ে থাকলেও খবর হয়। মানুষ না খেয়ে থাকলে খবর হয় না।
বঙ্গবীর বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা প্রতিবাদ করেছিল, তারা সেদিন হয়েছিল দুষ্কৃতিকারী। কারও কারও জেল, জরিমানা, ফাঁসি হয়েছিল। তিনি সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, আমরা কি এখন দুষ্কৃতিকারী না দেশপ্রেমিক?
বর্তমান সংকটের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এক নয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতি এক হয়েছিল বলেই আমরা জয়লাভ করেছিলাম। তাদের তুলনায় আমাদের অস্ত্রের শক্তি তেমন ছিল না। কিন্তু আমাদের রক্ত দেয়া, জীবন দেয়ার ও একে-অপরকে ভালোবাসার শক্তি ছিল অনেক বেশি। আজকে সেটা নেই। আজকে জাতীয় চেতনা, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ প্রধামন্ত্রীর নেয়া দরকার। এই উদ্যোগ নিয়ে তিনি যদি সফল হন, তাহলে সারা বিশ্বে তার নাম থাকবে।
খালেদা জিয়ার জন্মদিন প্রসঙ্গে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘খালেদা জিয়া যদি বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং তার হত্যার ঘটনায় মর্মাহত হয়ে জন্মদিন পালন না করে থাকেন, তাহলে সেটা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। এসময় কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী ও দলের সভাপতিমÐলীর সদস্য নাসরিন সিদ্দিকী ছাড়াও দলের নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে ছিলেন।