সোমবার, ২২শে জুলাই, ২০১৯ ইং ৭ই শ্রাবণ, ১৪২৬ বঙ্গাব্দ

দেখতে আম নয়, তবুও আম

Mangoনিজস্ব প্রতিবেদক : আমটির নাম মাহালিশা। তবে এটা যে আম, প্রথম দেখাতে তা মনেই হবে না। কিছুটা কলা আর শসার আদলের। লম্বায় পাঁচ ইঞ্চি, বেশ সরু। পেকে গেলেও হলদে ভাবটা বেশ কম। তবে স্বাদে বেশ মিষ্টি, আঁশও কম। আম মনে না হলেও এর দাম বেশ চড়া। প্রতি কেজির দাম ৪০০ টাকা।

রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে আয়োজিত তিন দিনের জাতীয় ফল প্রদর্শনীতে মাহালিশা আমই সবচেয়ে দামি—এমন দাবি করছেন গ্রিন টাচ অ্যাগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী মো. শাহাজ উদ্দিন। প্রদর্শনীর প্রবেশমুখেই তাঁর স্টল। যেখানে সাজিয়ে রাখা মাহালিশা আম।

দাম বেশি কেন?—জানতে চাইলে শাহাজ উদ্দিন বেশ দীর্ঘ বর্ণনা দেন। যার সারসংক্ষেপ হলো, মাহালিশা আমটির জন্মস্থান থাইল্যান্ডে। সেখানে এটি ‘বানানা ম্যাঙ্গো’ নামে পরিচিত। সন্ধান পেয়ে শখ করে সেখান থেকে দুই হাজার টাকায় এর চারা কিনে দেশে আনেন তিনি। বছর চারেক আগে ৭০টি মাহালিশার চারা রোপণ করেন খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার জালিয়াপাড়ায় নিজের বাগানে। এক বছরের তরতর করে বড় হতে থাকে এর চারাগুলো। গাছে ধরে যায় মুকুল। কিন্তু বেশ কিছু গাছ দুর্বল হয়ে যায়। এ জন্য অন্য কয়েকটি গাছের মুকুল ফেলে দেওয়া হয়। মুকুল রেখে দেওয়া গাছগুলো হৃষ্টপুষ্ট হয়ে যায়। পরিচর্যা করে পরের বছর একেকটি গাছ থেকে ২৫-৩০টি মাহালিশা আম পাওয়া যায়। তাঁর আশা, গাছগুলোর বয়স পাঁচ-সাত বছর হলে প্রতিটি গাছ থেকে হাজারখানেক আম পাওয়া যাবে। তখন মাহালিশা আমের দাম কমে আসবে। একেকটি মাহালিশার ওজন তিন শ থেকে সাড়ে তিন শ গ্রাম।

আম উৎপাদনে থেমে যাননি শাহাজ উদ্দিন। জালিয়াপাড়ার ৪০ একরের বাগানের একটি বড় অংশে মাহালিশার চারা উৎপাদনের কাজ চলছে। ফল প্রদর্শনীতে প্রতিটি চারা বিক্রি করা হচ্ছে ৫০০ টাকায়। জানালেন, মাহালিশা বাংলাদেশের আবহাওয়া উপযোগী। স্বাদেও মিষ্টি। এ দেশের আমের মৌসুমে এর পূর্ণতা আসে।

মাহালিশার আকারের ঠিক বিপরীত কুমড়াজালি আমটি। আকারে এটি বেশ মোটাসোটা, গোলগাল; রং গাঢ় সবুজ। চালকুমড়ার মতো দেখতে প্রতিটি কুমড়াজালি আমের ওজন হয় ছয় শ থেকে সাত শ গ্রাম। জাতীয় ফল প্রদর্শনীতে কুমড়াজালি আম পাওয়া যাচ্ছে মেসার্স মৌসুমি নার্সারি ও ফল বিতানের স্টলে।

প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা তানভীর হোসেন বলেন, চারা লাগানোর পর তিন বছরের মধ্যে কুমড়াজালি আম পাওয়া যায়। প্রথমে এর সংখ্যা কম থাকবে। বয়স বাড়লে আমও বেশি ধরবে গাছে। এই আমটি তাঁরা রাজশাহীতে উৎপাদন করছেন। খোসা মোটা হলেও আমের আঁটি চিকন। স্বাদে মিষ্টি। দাম কেজিপ্রতি ৭০ টাকা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবদুল্লাহেল বাকী জানান, জাতীয় ফল প্রদর্শনীতে আছে ১০৫ জাতের আম। এখন আমের মৌসুম। প্রচুর আম উৎপাদন হয়েছে সারা দেশে। তাই বেশির ভাগ স্টলে আমের বিক্রি বেশি।
প্রদর্শনীতে মাহালিশা কিংবা কুমড়াজালি নয়; মোহনবাঁশি, ছাতাপড়া, মাদ্রাজী তোতা, বোম্বাই খিলশপাত, মধু ভোগ, দুধসর, নাগফজলি নামে অসংখ্য অচেনা আমের দেখা মিলেছে। এ ছাড়া চিরচেনা হিমসাগর, আম্রপলি, বোম্বাই, লক্ষণভোগ, হাড়িভাঙ্গা, চোসা, হাড়িপছন্দ আম তো আছেই। প্রথম আলো

এ জাতীয় আরও খবর

কিশোরীকে খুঁজতে গিয়ে মিলল হাজার মানুষের হাড়

টিউশনি করে ডাবল জিপিএ-৫ পাওয়া তানিয়ার চোখে পানি

ঘুমের ওষুধ খাইয়ে খুবির লাইব্রেরিতে ছাত্রীকে ধ’র্ষণ, অতঃপর…

ছেলেধরা গুজবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি সরকারের

নিয়মিত কোরআন পাঠ করার কারনেই আল্লাহ আমার চোখের দৃষ্টি শক্তি অক্ষুন্ন রেখেছেন : ১২০ বছরের বৃদ্ধা

চাষের জমিতে ৬০ লাখ টাকার ‘হীরক খণ্ড’ কুড়িয়ে পেলেন কৃষক

হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে ছেলেকে শিকলবন্দি করলেন বাবা

স্কুলে যাওয়ার পথে দুই ছাত্রীর নাকে স্প্রে করে অজ্ঞান

‘আল্লাহর নামে’ ছেড়ে দেয়া ষাঁড় রাতের আঁধারে জ’বাই

মায়ের কবরের পাশে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে তুবা!

সাভারে ছেলেধরা গুজবে দম্পতিকে গ’ণপি’টুনি

ঘুরতে গিয়ে ছেলেধরা সন্দেহে গ’ণপি’টুনির শিকার ৪ বন্ধু, পিকআপে আ’গুন