স্মার্টফোনের সঙ্গে স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক আপনার, বুঝে নিন ২৩টি লক্ষণে
---
আধুনিক যুগে স্মার্টফোনকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখেন আধুনিক মানুষ। এটা এখন কেবলমাত্র প্রযুক্তিপণ্যই নয়, রীতিমতো জীবনের অংশ হয়ে গেছে। এর বিরামহীন ব্যবহার আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। তাই কথা বলা, টেক্স লেখা বা অন্য কোনো কাজ যেন স্বাস্থ্যকর হয় সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। স্মার্টফোনটির সঙ্গে যে আপনার স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক রয়েছে তা ২৩টি লক্ষণ বুঝে নিন।
১. নিউজ ফিডে অসীম স্ক্রলের মাধ্যমে আপনার দিনটি শুরু হয় না। রাতে বিছানায় শোবার পর স্মার্টফোন হাতে তুলেও নিতে হয় না।
২. বাড়িতে ভুল করে ফোনটি ফেলে গেলেও কোনো সমস্যা হয় না আপনার। বরং অনেকটা হালকা বোধ করেন। এটি ছাড়া অসহায় বোধ হয় না।
৩. আপনি এবং আপনার স্মার্টফোনটি প্রতিদিন এক বিছানায় থাকেন না।
৪. ভ্রমণটাকে উপভোগ্য করতে ফোনটিকে এয়ারপ্লেন মোডে রাখতেই পছন্দ করেন।
৫. জীবনের দারুণ কিছু মুহূর্তে স্মার্টফোনটি পকেটেই থাকে আপনার। অপূর্ব সূর্যাস্ত কিংবা সূর্যোদয়ের দৃশ্য দেখার সময় ফোনের কথা ভুলে যান।
৬. অ্যালার্ম ক্লক হিসেবে ব্যবহৃত হয় না ফোনটি।
৭. টেক্সট মেসেজ আসলে পাল্টা জবাব দিতে তাগাদা অনুভব করেন না।
৮. বিপরীতটাও সত্য। আপনার কল বা মেসেজে অন্য প্রান্ত থেকে জবাব না আসলে অস্থিরতা বোধ করেন না।
৯. পরিবারের সঙ্গে ডিনার টেবিলে বসলে সেখানে স্থান হয় না স্মার্টফোনের।
১০. ছবি তোলার চেয়ে পছন্দের খাবারের স্বাদ উপভোগ করতেই বেশি ভালো লাগে আপনার। ছবি তোলার আগে খাবারটি মুখে পুড়তেই বেশি লোভ লাগে। বেশি পছন্দ করেন।
১১. কাগজের ম্যাপ রিডিংয়ে এখনো দক্ষ আপনি।
১২. ছুটির দিনে মোবাইলটি বন্ধ রাখতে ইচ্ছা করে। আর বন্ধ রাখার পর খুব ভালো লাগে আপনার।
১৩. এখনো বইয়ের পাতা উল্টে পড়তে দারুণ ভালো লাগে। ডিজিটাল পর্দায় চোখ রেখে পড়তে মোটেই ভালো লাগে না।
১৪. আড্ডাতে মোবাইল পকেটে রেখে বন্ধুর কথায় মন দিতে আগ্রহী থাকেন।
১৫. ফোনের স্টোরেজ থেকে পুরনো তথ্য বা ছবি বের না করেও স্মৃতি হাতড়ে তা বের করতে পারেন আপনি।
১৬. ব্যাটারি শেষের সংকেত পাওয়ার পর দুশ্চিন্তগ্রস্ত হয়ে পড়েন না আপনি। কারণ চার্জার তো রয়েছেই। কিন্তু বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে দিশেহারা বোধ করেন না।
১৭. প্রায়ই প্রযুক্তিবিহীন জীবন কাটাতে ইচ্ছা করে। মাঝে মধ্যে এমন সময় কাটিয়ে দারুণ উপভোগ করেন।
১৮. স্মার্টফোনে গেমস না খেলে পোষা প্রাণীর সঙ্গে খেলতেই আপনার বেশি ভালো লাগে।
১৯. নতুন নোটিফিকেশন থেকে চোখ সরিয়ে আগন্তুকের চোখে চোখ রাখতেই বেশি আগ্রহী থাকেন।
২০. কখনো বাথরুমে হাস ফসকে মোবাইলটি পড়ে যায়নি আপনার। কারণ সেখানে আপনি কখনোই মোবাইল নিয়ে ঢোকেন না।
২১. রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে থামুন বা ধীরে চলুন বা ফুট ওভার ব্রিজ ব্যবহার করুন ইত্যাদি চোখ এড়ায় না আপনার। কারণ স্মার্টফোনটি পকেটে রেখেই পথ চলতে ভালো লাগে আপনার।
২২. সোশাল মিডিয়ায় কোনো পোস্ট দেওয়ার পর সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন। কয়টি লাইক পড়লো, কে কে কি কি কমেন্ট দিলো ইত্যাদি বিষয়ে চিন্তা কাজ করে না।
২৩. যোগাযোগের জন্যে স্মার্টফোন খুবই ভালো। কিন্তু সামনা সামনি দেখা করতেই বেশি ভালো লাগে আপনার। সূত্র : হাফিংটন পোস্ট