বুধবার, ২৪শে জুলাই, ২০১৯ ইং ৯ই শ্রাবণ, ১৪২৬ বঙ্গাব্দ

স্বামী বা স্ত্রীর চোখে সারাজীবন ধরে রাখুন নিজের আবেদন

সত্যি বলতে কি, কিছু বছর দুটি মানুষ একসাথে থাকার পর আগের সেই আবেদন ও উচ্ছ্বাস ধরে রাখা মারাত্মক কঠিন একটি কাজই বটে। বিয়ের কিছু বছর যেতে না যেতেই কেমন যেন ফিকে হয়ে আসে দাম্পত্য। আগের সেই তীব্র আকর্ষণটা কোথায় যেন হারিয়ে যায়, নিজেকে মনে হয় অবহেলিত। একই ছাদের নিচে দুজনে একসাথে বাস করে, একই বিছানায় রাতের পর রাত পাশাপাশি ঘুমিয়েও হারিয়ে যেতে থাকে আন্তরিকতা ও ঘনিষ্ঠতা। কখনো মনযোগ হারিয়ে ফেলেন স্বামী, কখনো আবার মনযোগ হারিয়ে ফেলেন স্ত্রীও। জীবনসঙ্গীর কাছে নিজের আবেদন ধরে রাখার জন্য মেনে চলতে হয় কিছু বিষয়। আপনি নারী হোন বা পুরুষ, জীবন সঙ্গীর মনযোগ ধরে রাখতে মনে রাখুন এই ৭টি পরামর্শ।

১) আন্তরিকতা ও প্যাশনের সাথে চুমু খেতে শিখুন। কেবল যৌন সম্পর্কের সময় চুমু খাবেন, বিষয়টা যেন তেমন মোটেও না হয়। বরং চুমুকে পরিণত করুন ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যমে। এমনকি গালে আলতু একটু ঠোঁটের স্পর্শও প্রকাশ করবে দারুণ ভালোবাসা ও আবেগ।

২) সারাদিন দুজনে নিশ্চয়ই দুই জায়গায় থাকেন? সকালে বিদায়ের সময় প্রিয় মানুষটিকে বিদায় দিন হাসিমুখে, সুযোগ থাকলে কপালে একটু চুমুর মাধ্যমে। আবার দিনশেষে যখন দেখা হবে, একইভাবে রিসিভ করুন। গৃহিণীরা সঙ্গীর জন্য একটু খাবার রান্না করে রাখতেই তো পারেন, কিংবা এক গ্লাস শরবত, একটু চা। আর পুরুষেরা দিন শেষে ঘোরে ফেরার সময় একটু ফুল, হয়তো সঙ্গীনির প্রিয় কন খাবার, নিদেন পক্ষে একটা বেলী ফুলের মালা তো নিতেই পারেন কখনো। সামান্য এই বিষয়গুলো সম্পর্ককে যে কতটা আবেদনময় করে তোলে, আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।

৩) কেবল বাইরে গেলেই সেজে গুজে যাবেন আর ঘরের মাঝে থাকবেল এলোমেলো, এটা যেন কখনো না হয়। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই নিজেকে সাজিয়ে রাখুন পরস্পরের জন্য। হয়তো প্রিয় মানুষটি বাড়ি ফেরার আগে, হয়তো দুজনে একসাথে মুভি দেখার সময়, হয়তো চায়ের আড্ডার ফাঁকে। উপলক্ষ যাই-ই হোক, নিজেকে সাজিয়ে রাখুন।

৪) বিয়ে করেছেন মানে কি প্রেম বন্ধ? সেটা যেন না হয়। কাজের ফাঁকে প্রিয় মানুষটিকে ফোন করুন বা টেক্সট পাঠান। টুকটাক রোমান্টিক আলাপ করুন। দেখবেন মনটা একদম ফুরফুরে লাগবে নিজেরও।

৫) নিজেদের সংস্পর্শে থাকুন। বাইরে গেলে হাত ধরে হাঁটুন, কারণে অকারণে আলিঙ্গন করুন, একটু আলতো আদর করুন… সব মিলিয়ে প্রিয় মানুষটির শরীরের সংস্পর্শে থাকুন। তাহলে মনটাও কাছাকাছি থাকবে।

৬) যত যাই হোক না কেন, অন্তত সকালে ও রাতে দুজনে একসাথে খাওয়া দাওয়া করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এটাকে একদম নিয়মে পরিণত করে নিন। এই সময়টা একান্তই আপনাদের। প্রিয় মানুষটির পছন্দের খাবার তৈরি বা সঙ্গী/সঙ্গিনীর পাতে এটা-ওটা তুলে খাওয়ানোর বিষয়টা সকলের কাছেই খুব আদুরে।

৭) সম্পর্ক মানে কেবলই যৌনতা নয়, আবার বেডরুমটাও দাম্পত্যে খুবই জরুরী। বিছানায় এলোমেলো বা নোংরা ভাবে যাবেন না। সুন্দর পোশাক পরে, চুল আঁচড়ে, সম্ভব হলে হালকা পারফিউম মেখে ঘুমোতে যান। আর যৌন সম্পর্ক হোক বা না হোক, প্রিয় মানুষটিকে জড়িয়ে ধরে ঘুমান। সম্পর্কটা হয়ে উঠবে খুব আবেগের।

সূত্র-
ফ্যামিলি শেয়ার ডট কম ও বিউটি মান্ত্রায় প্রকাশিত একাধিক প্রবন্ধ হতে অনুপ্রাণিত
 

এ জাতীয় আরও খবর

তথ্য-প্রযুক্তিতে উন্নত যুবশক্তি এগিয়ে নিয়ে যাবে বাংলাদেশকে

টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গাসহ নিহত ২

জামাল ভূঁইয়াকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

ঠাকুরগাঁওয়ে বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আসছে না, বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে

ভেঙে যাচ্ছে জাতীয় পার্টি !

অ্যালোভেরা দূর করে খুশকি

ছিটকে গেলেন অ্যান্ডারসন

রাশিয়ায় ‘দৈত্যকার গহ্বর’ ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে

বোরকা পরলেই জরিমানা ১৫০ ইউরো!‌

১৫ দফা দাবিতে সারাদেশে নৌযান ধর্মঘট

যুক্তরাষ্ট্রকে পাকিস্তানই জানিয়েছিল লাদেনের ঠিকানা : ইমরান খান