আতঙ্ক বৃদ্ধ ইদ্রিস মিয়ার পরিবারে,মার্কেটের জায়গা দখল করার মহড়া দিচ্ছে প্রভাবশালীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক : বৃদ্ধ ইদ্রিস মিয়া আর তার পারিবারের সদস্যরা দিশেহারা। গ্রামের প্রভাবশালীরা তার বাড়ির সামনের জায়গা দখল করে মার্কেট করার ঘোষনা দিয়েছে। সেসময় ইদ্রিস মিয়ার বাড়িঘরে হামলা চালানো হবে। নিয়মিত এমন হুমকীতে সন্ত্রস্ত অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে ঐ পরিবারে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কালিসীমা গ্রামে নবীনগর-গোকর্ণঘাট সড়কের পাশে নিজ বাড়ির সামনের অংশে ৩ শতক জায়গায় ১৯৯৬ সালে ১০ টি দোকান কোঠা নির্মান করেছিলেন ইদ্রিস মিয়া। কয়েক বছর আগে এই দোকান কোঠাগুলো গুড়িয়ে দেয় গ্রামের প্রভাবশালীরা। এখন এই জায়গা দখল করে নতুন করে মার্কেট করার উদ্যোগ নিয়েছেন ঐ প্রভাবশালীরা । নূরুল আমিন,হোসেন চেয়ারম্যান,আরজু মেম্বার প্রভাবশালী এই মানুষেরা আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। থানা পুলিশ,আইন-আদালত সব ম্যানেজ করে আগামী শনিবার তারা এই জায়গাটি দখল করবেন বলে ঘোষনা দিয়েছেন। এরপর থেকেই ঘুম হারাম হয়ে গেছে এই পরিবারের সদস্যদের। আগে থেকেই প্রাননাশের হুমকী দেয়া হচ্ছে এই পরিবারের লোকজনকে। ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মুছা মিয়া মেম্বার ও মেয়ে জামিলা থানায় সাধারণ ডায়েরীও করেছেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ধারার মামলা এবং নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১০৭ ধারার মামলা হয়েছে। ইদ্রিস মিয়া জানান- শালগাও মৌজার ৬৯ দাগের পাশে ৫১০ দাগে এই জায়গার অবস্থান। বিএস খতিয়ান নং ৪৫২ তে শালগাও মৌজার ৫১০ নম্বর দাগে ২ শতক জায়গার মালিক হিসেবে ইদ্রিস মিয়া গং এর উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু প্রভাবশালীরা জায়গাটি গ্রামবাসীর বলে দাবী করছে। ইদ্রিস মিয়া জানান, শালগাও-কালীসীমা উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে তাদের একটি জমিতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন মিয়া ইটাখোলা করেছিলেন। গ্রামবাসী ও স্কুলের সমস্যার কারনে ঐ ইটাখোলাটি সেখান থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। আর এই ক্ষোভে হোসেন চেয়ারম্যান কয়েক’শ লোক নিয়ে তার মার্কেটটি গুড়িয়ে দেন। অথচ ইদ্রিস মিয়ার সাথে সুসম্পর্ক থাকার সময় হোসেন চেয়ারম্যানই তার লোকজন নিয়ে জায়গাটি মাপঝোক করে দিয়েছিলেন মার্কেট করার জন্যে। এখন জায়গাটি দখল করে মার্কেট করার পরিকল্পনা করছেন গ্রামের প্রভাবশালীরা। যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন আওয়ামীলীগ নেতা নূরুল আমিন ও হোসেন চেয়ারম্যান। গ্রামের দুটি গোষ্টি বুদাই মোল্লা ও ইলমান্দির গোষ্টি এক হয়েছে জায়গাটি দখল করার জন্যে। ইদ্রিস মিয়ার মেয়ে জামিলা জানান-মার্কেটটি গুড়িয়ে দেয়ার পর তারা আইনের আশ্রয় নেয়ারও সাহস পাননি। তখন তারা বলেছিলো গ্রামের ফান্ডে ৫০ লাখ টাকা আছে। সেই টাকা এর পেছনে তারা খরচ করবে। এরপর ভয়ে এ নিয়ে তারা আইনের আশ্রয় নেননি। ইদ্রিস মিয়া বলেন – তারা একবার বলছে জায়গাটির মালিক গ্রামের মানুষ। আবার বলছে এটি সরকারী জায়গা। যদি সরকারী জায়গাই হয়ে থাকে তাহলে আমার বাড়ির সামনে হওয়ায় এর বন্দোবস্ত পাওয়ার অধিকার আমারই। তাছাড়া যারা এই জায়গা দখল করতে চাইছে তারা শালগাওয়ের কেউ নয়। ইদ্রিস মিয়া আরো বলেন জায়গা দখলের চেষ্টায় থাকা একটি গোষ্টির লোক হওয়ায় নাটাই দক্ষিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুম তার ওয়ারিশ সনদপত্র দেননি। বারবার তার কাছে গেলে বকাবকি করে ফিরিয়ে দেয়া হয়। এ ব্যাপারে সাবেক চেয়ারম্যান হোসেন মিয়া বলেন জায়গাটি হলো গ্রামের ৮০/৮২ জন মানুষের। ৫১০ দাগের জায়গা উল্টো উদ্রিস মিয়া দখল করেছে। নূরুল আমিন বলেন ইদ্রিস মিয়ার বাড়ির বাইরে এক ফুট জায়গও নেই।