সরাইলে স্কুল ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দিয়েছে বখাটেরা ॥ থানায় মামলা দায়ের
---
নিজস্ব প্রতিবেদক:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে নবম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে জোরপূর্বক আপত্তির ছবি তুলে ইন্টারনেটে ছেড়ে দিয়েছে বখাটেরা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের শাহবাজপুর গ্রামে। এ ঘটনায় সরাইল থানায় মামলা হয়েছে। স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্কুল সূত্র, ছাত্রীর পরিবার ও মামলার এজাহারে বলা হয়, শাহবাজপুর মুন্সী হাটির বাসিন্দা ও শাহবাজপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রী স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই একই গ্রামের ওসমান মিয়ার ছেলে জসিম মিয়া-(২৪), একই এলাকার ইরু মিয়ার ছেলে আবুল খায়ের-(৩০) অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন বখাটেকে নিয়ে উত্যক্ত করে আসছিল। বিষয়টি ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে বখাটেদের পরিবারকে একাধিকবার জানিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এতে আরো ক্ষুব্ধ হয় বখাটেরা। গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই ছাত্রী স্কুল ছুটি শেষে স্কুলের শিক্ষক নজরুল ইসলামের কাছে হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে প্রাইভেট পড়ে বাড়িতে আসার জন্য রুম থেকে বের হয়ে বারান্দা দিয়ে স্কুলের অফিস কক্ষের কাছে পৌছা মাত্র বখাটে জসিম মিয়া, আবুল খায়েরসহ আরো ৩/৪জন বখাটে তাকে জোরপূর্বক ধরে স্কুলের উত্তর-পশ্চিম কোনার নির্ঝন স্থানে নিয়ে যায়। পরে জসিম মিয়া তাকে শ্লীলতাহানি করে। এসময় অন্যরা শ্লীলতাহানীর আপত্তিকর ছবি তাদের মোবাইল ফোনে ধারন করে। স্কুল ছাত্রীর চিৎকারের আশপাশ এলাকার লোকজন আসলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। পরে স্কুল ছাত্রী ও তার পরিবার বিষয়টি স্কুল পরিচালনা কমিটি ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকদেরকে অবহিত করে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে বখাটেরা মোবাইল ফোনে ধারন করা স্কুল ছাত্রীর আপত্তির ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং যৌনপীড়ন ও সহায়তা করার অপরাধ আইনে গত ২৮ সেপ্টেম্বর সরাইল থানায় জসিম মিয়া, আবুল খায়েরসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, স্কুল ছাত্রীর ইভটিজিংয়ের বিষয়টি আমাকেসহ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে অবহিত করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই। এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলী আরশাদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আমরা বখাটেদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।