ফুটবলের সবচেয়ে মর্মান্তিক ট্র্যাজেডির গল্প শুনুন
---
অঘটন, বিপর্যয়, ট্র্যাজেডি—ফুটবলে এ শব্দগুলো কিন্তু অচেনা নয়। ফুটবল অঙ্গনের বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে এ শব্দগুলো সবগুলো প্রায়ই ব্যবহূত হয়। কিন্তু শব্দগুলোর সত্যিকারের ভয়াবহতা টের পাওয়া যায় না অনেক সময়ই। এ শব্দগুলোর সত্যিকারের মানে বুঝেছিল জাম্বিয়া, আজ থেকে ঠিক ২১ বছর আগে! মর্মান্তিক এক বিমান দুর্ঘটনায় হারিয়ে গিয়েছিল দেশটির পুরো একটি ফুটবল প্রজন্ম।
নব্বইয়ের দশকের শুরুতে জাম্বিয়া পেয়েছিল একঝাঁক প্রতিভাবান ফুটবলার। ১৯৮৮ সালের অলিম্পিকে জাম্বিয়া ইতালিকে হারিয়েছিল ৪-০ গোলে। ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেও দেখিয়েছিল দারুণ পারফরম্যান্স। সেবারই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন দেখছিল আফ্রিকার এ দেশটি। কিন্তু ১৯৯৩ সালের ২৭ এপ্রিল এক বিমান দুর্ঘটনা ধ্বংস করে দেয় জাম্বিয়ার সব স্বপ্ন।
বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলার জন্য বিশেষ এক বিমানে করে সেনেগালের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন জাম্বিয়ার ফুটবলাররা। ২৭ এপ্রিল সেই বিমানটিই পড়ে দুর্ঘটনার মুখে। বিমানের ৩০ জন যাত্রীই মারা গিয়েছিলেন সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনায়। এর মধ্যে ছিলেন ১৮ জন জাম্বিয়ান ফুটবলার ও জাতীয় দলের কোচ গডফ্রে চিতালু।
সৌভাগ্যের কারণে সেই বিমানে ছিলেন না জাম্বিয়ার অন্যতম সেরা খেলোয়াড় কালুসা বাওয়ালা। তাঁর নেতৃত্বেই পরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের বাকি ম্যাচগুলো খেলেছিল জাম্বিয়া। স্বপ্ন পূরণের খুব কাছাকাছিও চলে গিয়েছিল ভয়াবহ ট্র্যাজেডির শিকার হওয়া জাম্বিয়ান ফুটবল দল। তড়িঘড়ি করে সাজানো দলটা মাত্র এক পয়েন্টের জন্য যেতে পারেনি বিশ্বকাপের চূড়ান্তপর্বে। পরের বছর আফ্রিকান কাপ অব নেশনসেও সবাইকে চমকে দিয়ে ফাইনালে চলে গিয়েছিল জাম্বিয়া। নাইজেরিয়ার কাছে ২-১ গোলে হেরে শিরোপা জয়ের স্বাদ না পেলেও দেশে ফিরে বীরের সংবর্ধনাই পেয়েছিলেন জাম্বিয়ার ফুটবলাররা।
কিন্তু ১৮ জন খেলোয়াড় ও কোচের মৃত্যু গভীর সংকটেই ফেলে দেয় দেশটির ফুটবলকে। আফ্রিকার সেরা দল হওয়ার জন্য জাম্বিয়াকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০১২ সাল পর্যন্ত। কাকতালীয় ব্যাপার হলো ২০১২ সালের ফাইনালটি হয়েছিল গ্যাবনের রাজধানী লিব্রেভেলিতে। এখানেই বিধ্বস্ত হয়েছিল ১৯৯৩ সালের সেই বিমানটি। ফাইনালের আগেই সেই দুর্ঘটনাকবলিত জায়গায় গিয়ে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন জাম্বিয়ার নতুন প্রজন্মের ফুটবলাররা। ১৯৯৩ সালের সেই দলের সদস্য বাওয়ালা সে সময় বলেছিলেন, ‘আমি নিশ্চিত তাঁরা আমাদের সঙ্গে থাকবে।’
সত্যিই হয়তো সঙ্গে ছিলেন জাম্বিয়ার সেই নিহত ফুটবলাররা। সেবারই উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনালে আইভরি কোস্টকে টাইব্রেকারে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল জাম্বিয়া। এই জয় যেন ছিল সেই ১৯৯৩ সালের হতভাগ্যদেরই পর জনমের স্বপ্ন পূরণ!
এ জাতীয় আরও খবর
- উইন্ডিজকে ১১৫ রানে আটকে ফেলেছে বাংলাদেশের মেয়েরা
- দুনিয়া বলছে দেশে মানবাধিকার নেই: খালেদা জিয়া
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া খালেদা জিয়া সরকার বিরোধী আন্দোলনের আহ্বান
- শিগগিরই আসছে মাইক্রোসফটের স্মার্টওয়াচ
- শেষটা দেখে ফেললেন যুবরাজ?
- পুরো দেশ গ্রামীণফোনের থ্রিজির আওতায় এল
- ‘মোদি চা’ বনাম ‘রাহুল দুধ’
- সদরঘাটে ইচ্ছামতো টোল আর কুলি ভাড়া আদায়
- নিখোঁজ বিমান নিয়ে আশার আলো
- কলেজের ফটক বন্ধ করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ
- নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা নিয়ে ত্রিমুখি লড়াই!
- নতুন কম্পিউটার কিনে যা করবেন