চুলের যত্নে যে ১২টি টিপস আপনার কাজে আসবে
---
চুল নিয়ে অনেকেই অনেক রকম পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে সেগুলো যদি হয় ‘ভুল’ পরামর্শ, তাহলে তা বিপরীত কাজ করতে পারে। এ কারণে ঠিকভাবে না জেনে চুলের বিষয়ে কোনোকিছু করা ঠিক না। হাফিংটন পোস্টে প্রকাশিত চুলের যত্নে কিছু টিপস এ লেখায় প্রকাশিত হলো।
ঘন ঘন চুল ধোয়া
কোকড়া ও ঘন চুল শুকনো হয়। এ কারণে এগুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখা উচিত। এতে প্রাকৃতিক তেলের উপকারিতা পাওয়া যাবে। কিন্তু এটি তৈলাক্ত হয়ে গেলে তা দ্রুত ধুয়ে ফেলা ভালো। অতিরিক্ত তেল চুলের ক্ষতি করে।
ভেজা চুল রাখবেন না
চুল ভেজা রাখা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এতে চুলের আকৃতিতেও পরিবর্তন হয়। অনেক ক্ষেত্রে চুল কোকড়া হয়ে যায়, যা পরে কৃত্রিম পদ্ধতিতে সোজা করতে হয়।
বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগেই চুল শুকিয়ে নিন
অনেককে চুল পুরোপুরি না শুকিয়েই বাড়ি থেকে বের হতে দেখা যায়। কিন্তু এটি মোটেও উচিত নয়। চুল সম্পূর্ণভাবে শুকিয়ে তবেই বাড়ি থেকে বের হওয়া ভালো। নাহলে চুলের আয়ু কমে যায় এবং চুলের নানা ক্ষতি হয়।
চুলের গোড়া ভালোভাবে শুকিয়ে তারপর পরের অংশ শুকান। চুলের গোড়া শুকানো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। গোড়া ভালো থাকলে চুলের অন্য অংশেও তার উপকারিতা যাবে।
চুল পরিচর্যায় বেশি পণ্য ব্যবহার করবেন না
চুলের পরিচর্যায় বহুধরনের পণ্য ব্যবহার করা উচিত নয়। অনেকেই চুলের যত্নে ভিন্নধরনের স্প্রে, তেল, জেল, শ্যাম্পু ইত্যাদি ব্যবহার করেন। তবে এসব পণ্য প্রয়োজন অনুপাতে ব্যবহারই ভালো।
ভারি জেলের পরিবর্তে হালকা স্প্রে ব্যবহার করুন
চুলে ভারি জেল ব্যবহার করার তুলনায় হালকা স্প্রে ব্যবহার ভালো। ভারি জেল অনেক সময় চুলের ক্ষতি করতে পারে
শুকনো চুলে প্লাস্টিকের চিরুনি ব্যবহার করবেন না
শুকনো চুল ও প্লাস্টিকের চিরুনির ঘর্ষণে সেখানে স্থির বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। এগুলো চুলের জন্য ক্ষতিকর। এ কারণে শুকনো চুলে ধাতব চিরুনি ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে চুলের ভেতর স্থির বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে না এবং চুল পরস্পর আটকেও যাবে না।
কোকড়া চুলের জন্য হেয়ারস্প্রে ব্যবহার করুন
চুলের যত্নে বহু স্প্রে পাওয়া যায় বাজারে। এগুলোর মধ্যে ভালো একটি ব্র্যান্ড বেছে নিয়ে তা প্রয়োগ করতে পারেন কোকড়া চুলের জন্য।
পাতলা চুলে ফ্রিঞ্জ ব্যবহার করতে পারেন
অনেক পাতলা চুলের মেয়েকে চুলের একটি হালকা ফ্রিঞ্জ বা ঝুলন্ত একটি বাড়তি অংশ রাখলে সুন্দর লাগে।
চুল স্টাইলিস্টের কাছ থেকে ‘ব্যাককম্ব’ করুন
চুলের স্টাইলিস্টের কাছ থেকে সাজিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ‘ব্যাককম্ব’ করে নিলে তা সবচেয়ে ভালো কাজ করে। কারণ এটা অন্য স্টাইলগুলোর তুলনায় বেশি সময় রাখা যায়।
চুল এলোমেলো হয়ে গেলে যুদ্ধ করবেন না
হঠাৎ করে চুল এলোমেলো হয়ে গেলে সেগুলো আগের মতো স্টাইলে সাজানোর জন্য যুদ্ধ করবেন না। তার বদলে এগুলো সাধারণভাবে পেছনে ঝুলিয়ে রাখুন। এটিও অনেক ক্ষেত্রে ভালো দেখায়।