যে অসুখ থাকলে কাঁঠাল খেতে পারবেন না
চলছে কাঁঠালের মৌসুম। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আমিষ, শর্করা, চর্বি, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গনিজ, আয়রন, সোডিয়াম, জিংক, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও থায়ামিন।
আরও : একটি আমের দাম দেড় হাজার টাকা!
বারডেম জেনারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ আখতারুন নাহার এই ফলের গুণাগুণ সম্পর্কে বলেছেন, কাঁঠালে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দেহকে ক্ষতিকর ফ্রির্যাডিকেলস থেকে রক্ষা করে, সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
তিনি বলেন, এমনকি কাঁঠালের বিচিতেও আছে শর্করা। তবে এতে থাকে আঁশ, তাই বেশি খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে। কিন্তু যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের কাঁঠাল খাওয়ায় বিধি নিষেধ আছে। এ ছাড়া কিডনি রোগে আক্রান্তদের মধ্যে যাদের রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি, তাদের কাঁঠাল না খাওয়াই ভাল। কিন্তু যাদের এই অসুখ নেই তাদের জন্য উপকারি কাঁঠাল।
স্বাস্থ্য উপকারিতা
১. ভিটামিন এ রাতকানা দূর করে চোখ ভালো রাখতে সহায়তা করে।
২. ভিটামিন সি ত্বক ও চুল ভাল রাখার পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
৩. কাঁঠালে বিদ্যমান পটাসিয়াম উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের সুস্থ রাখে।
৪. কাঁঠালে থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস আলসার, ক্যানসার, উচ্চ রক্তচাপ এবং বার্ধক্য প্রতিরোধ করে।
৫. টেনশন কমিয়ে হার্টকে ভাল রাখতে কাঁঠালের জুড়ি নেই।
৬. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ক্ষতিকর ফ্রির্যাডিকেলস দূর করে শরীরকে সুস্থ রাখে।
৭. কাঁঠালে চর্বি থাকলেও পরিমানে খুব কম থাকায় ওজন বৃদ্ধির আশংকা নেই বললেই চলে।
৮. কাঁঠালে বিদ্যমান ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম দাঁতের মাড়ি ও হাড়কে শক্তিশালী করে তোলে।
৯. আয়রন রক্তস্বল্পতা দূর করে এবং ফাইবার কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে।