একেই বলে ভালোবাসা!
ভালোবাসার সীমানা দিগন্ত বিস্তৃত। তাই তো যেমন মানে না দেশ বিদেশের সীমা রেখা তেমনি জাত কুল। বিদেশি অনেক তরুণী ভালোবেসে মহাসাগর পাড়ি দিয়ে চলে আসছে বাংলাদেশে। ঝিনাইদহের উপশহর পাড়ায় পূজা বিশ্বাস তেমনই এক ভালোবাসার শিকার। স্বামীর সঙ্গে মাগুরায় শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে পূর্বের প্রেমিক লিটুর হাত ধরে পাড়ি জমিয়েছে অজানার উদ্দেশ্যে। এ ঘটনা নিয়ে শহরে নতুন করে তোলপাড় শুরু হয়েছে। যে প্রেমিকাকে ছুরিকাঘাত করার দায়ে প্রেমিক লিটুকে গুলিবিদ্ধ করে পুলিশ, মামলা হয়ে ৬ মাস জেলের ঘানি টানে, অবশেষে তার হাত ধরেই পালালো পুজা? এমন হাজারো প্রশ্নের কোন উত্তর মিলছে না পাড়া প্রতিবেশীদের কাছে।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৫ অক্টোবর প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়া স্কুলছাত্রী পূজা বিশ্বাসকে ছুরিকাঘাত করে লিটু বিশ্বাস। পুলিশ ঘটনার পর লিটুকে পায়ে গুলি করে গ্রেফতার করে। মামলা হয় লিটুসহ তার আত্মীয় স্বজনদের নামে। এ ঘটনার ৬ মাস পরে পূজা বিশ্বাসকে তার বিপুল মজুমদার মহা ধুমধামের সাথে মাগুরায় বিয়ে দেন। বৃহস্পতিবারে দুপুরে উপশহরপাড়ার বাপের বাড়ি থেকে পুজা স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলযোগে মাগুরার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ঝিনাইদহ টার্মিনালে পৌঁছালে পুজা তার স্বামীকে কৌশলে ফলের জুস ও কিছু ফল কেনার জন্য পাঠায়। স্বামী ফল ও জুস নিয়ে ফিরে এসে দেখে তার স্ত্রী মাইক্রোযোগে প্রেমিক লিটুর (২৪) সাথে পালিয়ে যাচ্ছে।
আরও : একটি আমের দাম দেড় হাজার টাকা!
পূজা বিশ্বাসের বাবা বিপুল মজুমদার জানান, বৃহস্পতিবারে আমার নিজ বাসা হতে পুজার স্বামীর বাড়ি মাগুরার উদ্দ্যেশে স্বামীর সাথে চলে যায়। একই দিনে রাত সাড়ে নয়টার দিকে জামায় আমাকে ফোন করে বলে পুজাকে পাওয়া যাচ্ছে না। আমার সন্দেহ হলে আমি ও আমার জামায় মিলে পুজাকে খুঁজে না পেয়ে মাগুরা থানায় একটি জিডি করি।
তিনি আরো জানান, শুক্রবার রাত পর্যন্ত আমি পুজাকে পায়নি।
ঝিনাইদহ পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, ঝিনাইদহ সদর থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করিনি। করলে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনার পর থেকেই পুজাকে নিয়ে উধাও হওয়া লিটুর ভগ্নিপতি ফল ব্যাবসায়ী বাবু ও তার স্ত্রীসহ স্বজনরা গা ঢাকা দিয়েছে। পুজার উপর ছুরি নিয়ে হামলা ও প্রেমিক লিটুকে আটকের পর পুলিশ কর্তৃক পায়ে গুলির পরও এই প্রেমের কাহিনী এখন লোকমুখে প্রচার হচ্ছে।