তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীদেরকে দুদকে হাজির হতে চিঠি
দেশে মাদকবিরাধী অভিযানের অংশ হিসেবে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরই অংশ হিসেবে ৪’শ জন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীর অবৈধ সম্পদের খোঁজে মাঠে কাজ করছে দুদকের একাধিক টিম। নামে-বেনামে রাখা তাদের অবৈধ সম্পদ খুঁজে দেখা শুরু করেছে সংস্থাটি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা থেকে পাওয়া সাড়ে ৩’শ গডফাদারের তালিকা ধরে কাজ শুরু করেছে বলে দুদক সূত্র থেকে জানাগেছে।
দুদক সূত্র জানায়, মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত কোনো ব্যবসস্থা নেওয়ার ক্ষমতা না থাকলেও তাদের অর্জিত অবৈধ সম্পত্তির অনুসন্ধান করতে পারে দুদক। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে মাদকের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের তালিকা সংগ্রহ করে তাদের অবৈধ আয়ের পথ ও বিশাল অর্থবিত্তের খোঁজে কাজ শুরু করেছে দুদক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের প্রধান কার্যালয় সহ বিভিন্ন জেলা অভিসের কর্তকর্তারা কাজ করছেন। ইতোমধ্যে শতাধিক ব্যবসায়ীর ঠিকানায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে চিঠির সারা মিলছে খুবই কম। তার পরেও আমরা বসে নেই । আমরা আমাদের মতো কাজ করছি। দুদকের হাতে যে তালিকা আছে, সেখানেও কক্সবাজারের একজন শীর্ষ ব্যবসায়ী ও তার ভাইদের নামও রয়েছে।
আরও : একটি আমের দাম দেড় হাজার টাকা!
দুদক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে ১৪১ এবং একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা থেকে ২০০ জন মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা সংগ্রহ করেছে। এছাড়াও দুদকের কাছে সরাসরি অর্ধশত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। সব মিলে সংস্থাটির কাছে ৪০০ এর অধিক মাদক ব্যবসায়ীর নাম রয়েছে। দেশজুড়ে থাকা এসব মাদক ব্যবসায়ীরা এই অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নানা তথ্য সংগ্রহ করেছে। দুদকের হাতে থাকা তালিকায় সংসদ সদস্য, বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতা, ধনাঢ্য ব্যবসায়ী থেকে সরকারি কর্মকর্তাও রয়েছেন। এরই মধ্যে এ বিষয়ে খুলনা-২ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মিজানুর রহমানকে দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
দুদক সূত্র জানায়, অভিযোগ অনুসন্ধানে ঢাকায় ও দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়গুলোতে বিশেষ টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ বিভাগের চার শতাধিক মাদক ব্যবসায়ীর নামের তালিকা রয়েছে কমিশনের হাতে। মাদক ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।