ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবি রিভার পার্কে বিনোদন পিপাসুদের ভীড়
তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরতলীর ভাদুঘর গ্রামের তিতাস নদীর কুরুলিয়া পাড়ে গত ২ বৎসর চেষ্টায় প্রায় সাঁড়ে ৫ একর জমির উপর নির্মিত হয় আবি রিভার পার্ক।পার্কটি চালু হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নতুন করে বিনোদনের খোরাগ তৈরী হয়েছে বলে মনে করছেন সব শ্রেণী পেশার মানুষ। এবার ঈদ ফিতর দিন থেকে যাএা শুরু করা পার্কটিতে দর্শনার্থীদের ভীড় ছিল চোঁখে পড়ার মত। ঈদের দিন থেকে কোন ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই দর্শনার্থী বিষয়টি মাথায় রেখে পার্কটির কার্যক্রম চালু করা হয়।
পার্কটি প্রথম পর্যায়ে ছয়টি মজাদার রাইট নিয়ে যাএা শুরু করেন কতৃপক্ষ। শুরু থেকে প্রতিদিন জেলাশহর সহ আশেপাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে গড়ে ১২/১৩ শতাধিক বিনোদন পিপাসু মানুষেরা পার্কটির সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভিতরে প্রবেশ করছেন। আর এজন্য টিকেট মূল্য ধরা হয়েছে জনপ্রতি ১০০টাকার মত। ভিতরে রয়েছে ট্রাইগার ট্রেন, অলজার, সুইংপিং, প্যাডেল বোর্ড, প্যারিসসিপ ও সুইং চেয়ার এধরনের ছয়টি রাইট। যার টিকেট মূল্য ধরা হয়েছে প্রতি গেইমে জনপ্রতি ৫০ থেকে ৭০ টাকার মত। এখন পার্কটিতে প্রবেশের সময় সকাল দশটা থেকে রাত আটা পর্যন্ত চলছে।
আরও : যে রং ঘুম কেড়ে নেয়!
কথা হয় বেশ কয়েকজন দর্শনার্থীর সাথে তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের এমনিতে শিশু কিশোরদের বিনোদনর তেমন কোন ভাল ব্যবস্হা নেয়। পার্কটি সব বয়সের মানুষের মনের খোরাগ হিসেবে কাজ করবে বলে আমরা মনে করি। এটি নদীর পাড়ে হওয়ায় পরিবেশ অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর হয়েছে। তবে বাচ্চাদের জন্য কিছু নতুন নতুন খেলনা সংযোজন করলে আরো ভাল হবে।
কথা হয় আবি রিভার পার্কের মালিক মো: আলমগীর হোসেনের সাথে তিনি বলেন,আমাদের জেলার শিশু কিশোর সহ সকল শ্রেণীর মানুষের বিনোদনের তেমন কোন ভাল ব্যবস্হা নেয়। আমি পার্কটি শুধু ব্যাণির্জ্যক চিন্তা মাথায় রেখে করিনি। এটা আমার দীর্ঘ সময় ধরে একটি শখ ছিল। পার্কটি শুরু থেকে ভাল সাঁড়া পাচ্ছি। আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন আরো পরে করব। পার্কটি আরোবেশ কিছু রাইট সংযোজন করা হবে। সবার সহযোগিতা নিয়ে এটির কার্যক্রম এগিয়ে যেতে চায়।
পার্কটি সম্পর্কে অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বলেন,জেলার শিশু-কিশোরসহ সকলের বিনোদনের জন্য এটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। শিশুদের আরো কিছু রাইট হলে পার্কটির পরিপূণর্তা আসবে। আমাদের পক্ষ সব-সময় সহযোগিতা করা হবে।