যেভাবে জোগাড় ও ব্যয় হবে বাজেটের টাকা
জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। নির্বাচনের বছরে ঘোষণা করা এই বাজেটের আয় ও ব্যয় কীভাবে হবে তারও একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিয়েছেন তিনি। বাজেটের টাকা জোগাড় ও টাকা ব্যয়ের সেই চিত্রটি নিচে বর্ণনা করা হলো।
টাকা জোগাড় হবে যেভাবে:
আসন্ন ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা জোগাড় করতে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। এরপরেও ঘাটতি থেকে যাবে ১ লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা—যা জিডিপির ৪ দশমিক ৯ শতাংশ।
রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন কর বাবদ আদায় করা হবে ২ লাখ ৯৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর বাইরের বিভিন্ন খাত থেকে কর বাবদ আদায় হবে ৯ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা। কর ছাড়া অন্য খাত থেকে রাজস্ব আদায় হবে ৩৩ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা। এভাবে মোট রাজস্ব আয় দেখানো হয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা।
আরও : এই ৬টি নিরামিষ খাবারে রয়েছে প্রচুর আয়রন
অর্থমন্ত্রীর পরিকল্পনা অনুযায়ী,বাজেটে ঘাটতি থাকা ১ লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা জোগাড় করা হবে বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ ঋণের মাধ্যমে। এরমধ্যে বৈদেশিক নিট ঋণ বাবদ নেওয়া হবে ৫০ হাজার ১৬ কোটি টাকা। বৈদেশিক ঋণ পাওয়া যাবে ৬০ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা। আর অভ্যন্তরীণ ঋণ অর্থাৎ ব্যাংক খাত থেকে নেওয়া হবে ৭১ হাজার ২২৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে আবার বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করা হবে ১০ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা।
টাকা ব্যয় হবে যেভাবে:
আসন্ন বাজেটে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮২ হাজার ৪১৫ কোটি টাকা। আবর্তক ব্যয় নামে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থার বিপরীতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২ লাখ ৫১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ব্যাংকের সুদ পরিশোধ করতে হবে ৪৮ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা। বৈদেশিক ঋণের সুদ বাবদ পরিশোধ হবে ২ হাজার ৯৬৩ কোটি টাকা রয়েছে। উন্নয়ন ব্যয়ের মধ্যে কাজের বিনিময় খাদ্য কর্মসূচিতে সরকারের ব্যয় হবে ১ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা।