বিশ্বকাপে স্ত্রী-বান্ধবীদের ‘সঙ্গ পাবে’ ব্রাজিলের ফুটবলাররা!
স্পোর্টস ডেস্ক: আর মাত্র এক সপ্তাহ। তারপরই বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে নামছে ৩২টি দল। আর জেতার জন্য নানা ধরণের কৌশল অবলম্বন করছেন দলের কোচরা। বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানির কোচ জোয়াকিম লো বিশ্বকাপের সময় তার ফুটবলারদের সঙ্গে তাদের স্ত্রী-বান্ধবীদের মেলামেশায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। কিন্তু ব্রাজিলের বিশ্বখ্যাত কোচ তিতে ঠিক উল্টো কথাই বললেন। নেইমারদের ক্ষেত্রে বেশ শিথিল নীতি নিয়েছেন তিনি।
তিতের বক্তব্য, বিশ্বকাপের জন্য ব্যাপক খাটাখাটুনির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন ফুটবলাররা। মাঝে মাঝেই তিনি ফুটবলারদের তাই ছুটি দেবেন। তিনি বিশ্বাস করেন, ফুটবলারদের কাছ থেকে সেরাটা পেতে বিশ্রাম খুবই জরুরি। এবং ওই ছুটির দিনগুলোয় ফুটবলাররা তাদের স্ত্রী-বান্ধবীদের সঙ্গে মেলামেশা করতে চাইলে তিনি আপত্তি করবেন না। তেরোজোপলিসে ব্রাজিলের শিবির থেকেই তিনি এই নিয়ম চালু করেছেন। তবে স্থানীয় রাশিয়ান মেয়েদের সঙ্গে মেলামেশা করা যাবে কিনা সে ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি তিতে।
আরও : এই ৬টি নিরামিষ খাবারে রয়েছে প্রচুর আয়রন
ছুটির যে কয়দিন এখন পর্যন্ত ফুটবলাররা পেয়েছেন, প্রতিদিন নেইমার, উইলিয়ানরা তাদের প্রিয়জনদের সঙ্গে হইহল্লা করেই কাটিয়েছেন। নেইমাররা অবশ্য এখনও খুব বেশি ছুটি পাননি। তবু কমপক্ষে দিন দুয়েকের ছুটিই তারা চুটিয়ে উপভোগ করেছেন।
ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রদরিগো লাসমার বলেছেন, ‘লো যা করছে তাতে আমার সম্মতি নেই। যৌনতা স্বাভাবিক ব্যাপার। আমাদের দলের বেশির ভাগ ফুটবলারেরই বয়স কম। প্রত্যেকেই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। আমাদের কোচ মনে করেন, ওদের ভালবাসার সুযোগ দিলে তরতাজা হয়েই মাঠে ফিরবে।’
তিতে অবশ্য হোটেলে ফুটবলারদের রুমে তাদের স্ত্রী-বান্ধবীদের নিয়ে আসতে নিষেধ করেছেন। ফুটবলাররা বাইরে কোথাও আনন্দ করলে সেক্ষেত্রে তার কোনো আপত্তি থাকবে না। এটুকু শৃঙ্খলা তো রাখতেই হবে নাকি? যদিও ব্রাজিল দলে নারীসঙ্গের ঘটনা নতুন কিছু না। গ্যারিঞ্চাদের সময় থেকে তা চলে আসছে। একই ভাবে মারিও জাগালোও পেলেদের এ রকম ছুটি দিতেন। ছুটি কাটিয়ে আসার পরে তার সেই বিখ্যাত উক্তি তো কিংবদন্তিতে পরিণত। তিনি বলেছিলেন, ‘অনেক হয়েছে, এ বার যাও মাঠে নেমে ম্যাচ জিতে এসো।’ নেইমারদের কি একই কথা বলবেন তিতে?