এসসিও বৈঠকে জঙ্গিবাদ বিরোধি লড়াই জোরদার করতে চায় চীন
এই সপ্তাহে অনুষ্ঠিত এসসিও বা সাংহাই কো অপারেশন কাউন্সিলের বৈঠকে সংস্থাটির সদস্যদেশগুলিকে সঙ্গে নিয়ে সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াই জোরদার করতে চায় চীন। চীনের দাবী দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশে তারা ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর হুমকির মুখে এসসিও সদস্যগুলোকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা করছে। এই লক্ষ্যে সংগঠনটির অপর শক্তিশালী সদস্য দেশ রাশিয়াকে সঙ্গে নিয়ে তারা সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতেও আগ্রহী।
বর্তমানে চীন ও রাশিয়া যৌথভাবে এসসিও সদস্যদেশ গুলিকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এই দেশগুলির মধ্যে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোও রয়েছে। এই দেশগুলি প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের সদস্য ছিলো এবং বর্তমানে দেশগুলিতে চীন ও রাশিয়ার ব্যাপক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে। চীনের জিনজিয়াং এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলি সন্ত্রাসদমনের নামে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে বলেই পশ্চিমা মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর অভিযোগ রয়েছে।
আরও : আর্জেন্টিনার ভক্ত মাশরাফি
তবে চীন বরাবরই এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। চীনা সরকারের বর্তমান উদ্বেগের কারণ ব্যাখ্যা করে বার্তা সংস্থা শিনহুয়া জানায়, সিরিয়া এবং ইরাকে আইএস সন্ত্রাসীদের পরাজয়ের পর এদের অনেকেই এখন নিজনিজ দেশে ফিরে আসছে। এদের মাঝে অনেক সন্ত্রাসী এসসিও দেশগুলোর বাসিন্দা।
আসন্ন এসসিও সম্মেলনে তাই আঞ্চলিক সহযোগীদের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় নতুন নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রস্তুতের লক্ষ্যে কাজ করার প্রস্তাব দেবে চীন।সংস্থাটি এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানায়, ইতোমধ্যেই এসসিওভুক্ত দেশগুলি সশস্ত্র জঙ্গিদের ৫০০ প্রশিক্ষণ শিবির ধ্বংস করে দিয়েছে এবং প্রায় ২০০০ জঙ্গিকে আটক করেছে।
এছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ায় এসসিও’র পরিধি বৃদ্ধি করে সন্ত্রাসদমনে ভূমিকা রাখতে আগ্রহী চীন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত ও পাকিস্তান সংস্থাটির নতুনতম সদস্য। এছাড়াও ইরান বর্তমানে সংস্থাটির পর্যবেক্ষক সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। -দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস