কালোবাজারিদের হাতে জিম্মি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেলযাত্রীরা
তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন থেকে ঢাকা, চট্রগ্রাম ও সিলেটের পথে আন্ত:নগর ট্রেনের শতকরা ৭০ জন যাত্রী সিটবিহীন টিকেট কেটে গন্তব্যের পথে যাতায়াত করতে হয়। এমনিতে যাত্রীর তুলনায় আসন সংখ্যা কমিয়ে টিকেট দেওয়া হয়েছে অর্ধেক, আবার বাকিগুলো চলে যায় অসাধু পথে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলওয়ে স্টেশনের যাত্রীদের জন্য ৮৫০ টির মত টিকেট বরাদ্দ থাকে। সরেজমিনে ঘুরে ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকা- চট্টগ্রাম ও সিলেট যাওয়ার আন্ত.নগর ট্রেন মহানগর প্রভাতি ,চট্টলা, জয়ন্তিকা, মহানগর গোধূলী, নিশিথাসহ এসব ট্রেনের টিকেট ৫/৬ দিন আগে খোঁজ করেও কাউটারে টিকেট পাওয়া যায় না। কাউন্টারসহ স্টেশনের ভেতরে সিসি ক্যামেরার চলমান অবস্থায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টিকেট কালোবাজারীরা প্রতিটি আন্ত:নগর ট্রেনের নির্দিষ্ট সময়ের একঘণ্টা আগে থেকে প্রায় শতাধিক টিকেট হাতের মুঠোয় নিয়ে কয়েকদলে বিভক্ত হয়ে অনেকটা বীরদর্পে তিনগুণ বেশি দাম দিয়ে বিক্রি করেন।
দেখা যায় ৭৫ টাকার টিকেট ২০০টাকা আর ১৪৫ টাকার টিকেট ২৫০/৩০০টাকা। আবার সুযোগ আর ক্ষেএ বিশেষে তা তিন’শত টাকার অধিক দামে বিক্রি করা হয় । কালোবাজারিদের হাতে আসা টিকেটের তথ্যে মূল নিয়ন্ত্রণকারী নামে প্রতিদিন আসে ২০০টির মত টিকেট। অন্যান্য বিক্রেতাদের হাতে যাচ্ছে (২০+৩০+৪০) মিলিয়ে প্রায় সবমিলিয়ে ১০০টি টিকেটের মত। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মো. সানাউল ইসলাম জানান, সিসি ক্যামেরা সব-সময় চালু থাকে।
স্টেশনের টিকেট কালোবাজারি কাছ থেকে মাসোয়ারা নেওয়ার বিষয়টি এটা ঠিক না। তবে কেউ বললে আমরা টিকেট এনে দেয়।এ বিষয়ে আখাউড়া রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল ক্লান্তি দাস জানান, আমি নিজেই অভিযানে যাব।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার কামরুল হাসান তালুকদার বলেন,আমরা সারাদিনে সব মিলিয়ে চল্লিশটা টিকেট পাই। এর বেশি যেটা বলেছেন সেটা ঠিক নয়। টিকেট কালোবাজারি বিভিন্ন কৌশলে টিকেটটা কাউন্টার থেকে নিয়ে যায়। এরা সারাদিন জিআরপি সামনে খোলামেলা টিকেট বিক্রি করে তারাতো দেখেই। সিসি ক্যামেরা সারাক্ষণ চালু থাকে।