মেডিকেল সাইন্সে মেসওয়াকের উপকারিতা
মিসওয়াক করার দ্বারা কিডনীর পাথর প্রতিরোধ হয়। থাইরাইড গান্ডরে আক্রান্ত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়। গভীর অধ্যাবসায় সুক্ষ্ম ভাবনার প্রতিফলন ঘটে। মুখের সৃষ্ট তো নিরাময়ের কারণ। এলার্জি দূরিভুত হওয়ার মাধ্যম। সন্তুষ্টির প্রতি দয়া-মায়া ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। মুখের ব্রুণ ও কালো দাগ মুছে ফেলে। ঘুমের মধ্যে সৃষ্ট শ্বাস-প্রশ্বাসে রোগ প্রতিরোধ করে। দেহ সতেজ রাখে। মাথা ব্যথা দূর হয়। মস্তিস্ক সতেজ ও সহায়ক হয়। দাঁতের ব্যথা দূর হয়। দাঁতের শুভ্রতা ও উজ্জলতা বৃদ্ধি পায়। দাঁত শক্ত হয়। ফেরেশতা নূরানী চেহারায় মুসাফাহা করে। মাথা ঠা-া রাখে। চুলের গোড়া শক্ত হয়। চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি পায়। খাওয়ার রুচি বৃদ্ধি পায়। গলায় মাংসপি- বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। রক্ত পরিষ্কার রাখে। সর্দি-কাশি নিরাময়ে ফলপ্রসূ হয়। হৃদপি- ব্যধির উপকারিতা। পাকস্থলীর কার্যকর ভালো থাকে। শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায়। বাকশক্তি সুন্দর ও আর্কষণীয় হয়। স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি পায়। অন্তর পরিচ্ছন্ন হয়। নেকী বৃদ্ধি পায়। শরীরের অতিমাত্রার তাপ বা আদ্রতা দূর হয়। শরীর ইবাদতের উপযোগী হয়। সর্ব প্রকার ব্যথা দূর হয়। পিঠ মজবুত হয়। জ্বর থাকলে কমে যায়। জিহ্বা তেজস্বী হয়। জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয়। জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়। সন্তানাদি নেক ও ভদ্র হয়। ফেরেশতাগণ মিসওয়াক কারীকে দেখে বলতে থাকে- ‘ঐ ব্যক্তি নবীগণের অনুসারী।’ মৃত্যুর সময় ফেরেশতাগণ এমন আকৃতিতে আসেন যেমন আকৃতিতে নবীগণের কাছে আসতেন। মুখের জড়তা, তোতলামি, বাকরুদ্ধতা দূর হয়। যৌনশক্তি বৃদ্ধি পায়। হযরত আলী রা. থেকে বর্ণিত মিসওয়াক কাশি দূর করে। যাদের শরীরে ও মাথায় চুল এবং পশম নেই মিসওয়াক করার ফলে সেখানে চুল ও পশম গজায়। শরীরের রং উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয় হয়। শয়তানের ওয়াস ওয়াসা দূর হয়। নিয়মিত মিসওয়াকের দ্বারা দাঁতের হলুদবর্ণ দূর হয়। দাঁত সাদা ও ধবধবে উজ্জ্বল হয়। জান্নাতে মিসওয়াক কারীর মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। মৃত্যুর সময় কালিমা নসীব হয়।
মিসওয়াকের এ সুন্নত মানব জীবনের প্রতিটি ধাপে বাস্তবায়ন করা সময়রে দাবি। ইসলামি শরীয়তে মিসওয়াকের এ সুন্নত মানুষের সার্বিক কল্যাণ বয়ে আনতে পারে। চমকদার হিরার টুকরো ফেলে দিয়ে মূল্যহীন একটি কাঁচরে টুকরো যেমনি বুদ্ধিহীনতার কাজ তেমনি মিসওয়াকের মতো মূল্যবান সুন্নতকে বাদ দিয়ে টুথপেস্ট গ্রহণ অনুচিত। সাহাবায়ে কেরামের যামানায় যুদ্ধের সময় কাফেররা মুসলমানের মিছওয়াকের অবস্থা দেখে বলতে লাগলো ‘মিসওয়াক যে জাতির খাদ্য (দাঁত খিলাল) সে জাতির সাথে জয়ের আশা বোকামী’ ফলে ভয়ে তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। সে যুগে একটি সুন্নতের উপর আমল করার কারণে মুসলমানদের বিজয় অনিবার্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এজন্য পারিবারিক সামাজিক রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক জীবনে মিসওয়াকের গুরুত্ব অপরিসীম। অন্যান্য সুন্নতের সঙ্গে নবীজির এ গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত মিসওয়াককেও প্রাধান্য দেয়া বাঞ্ছনীয়। সুন্নতে নববীর ছোঁয়ায় জীবনের প্রতিটি অঙ্গন হয়ে উঠুক সফলতার বর্ণিল ক্যাম্পাসে সমৃদ্ধ। শেষ জামানায় একটি সুন্নত আমাদের প্রত্যাহিক জীবনের প্রতিটি অধ্যায়কে করে দিতে পারে সুন্দর্যের শোভায় শোভামণ্ডিত। এ প্রত্যাশাই করি।