নতুন প্রজন্মের দেশপ্রেম বাড়ানোর মত ছবি ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’
একজন সফল নাট্য নির্মাতা ইদ্রিস হায়দার। চলচ্চিত্রের নানা বিষয় নিয়ে মুখোমুখি হয়েছিলেন এই প্রতিবেদকের। সেখান থেকে চুম্মক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল। সাক্ষাতকার নিয়েছেন- আবু সুফিয়ান রতন
কেমন আছেন? – ভালো
আপনি এ পর্যন্ত কতগুলো নাটক নির্মাণ করেছেন?
– নাটক নির্মাণ করেছি ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৩০০। আমার প্রথম টেলিভিশন নাটকের নাম ‘ঠাকুর দা’। এতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন আমার সব চেয়ে প্রিয় অভিনেত্রী নাজমা আনোয়ার যাকে সবসময় স্মরণ করি। এচাড়া আরো ছিলেন মাসুম আজিজ, আতাউর রহমান, রোজি সিদ্দিকী, প্রাণেষ চৌধুরী, প্রমুখ।
আপনার ৫৪টি নাটকের মধ্যে সবচেয়ে দর্শকপ্রিয় নাটক কোনটি ?
– আমার সবচেয়ে দর্শকপ্রিয় টেলিফিল্ম ‘মাই ভ্যালেনটাইন’। এই টেলিফিল্মে আরফিন শুভ বিশেষ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে প্রিয় হয়েছেন। আমার একটি টেলিফিল্ম চন্দ্রমুখীতেও আরেফিন শুভ অভিনয় করেছেন।
আরও : বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ‘মাইল্ড স্ট্রোক’ হয়েছে—ধারণা চিকিৎসকের
আপনি নাটকের পাশাপাশি কয়টি ছবি নির্মাণ করেছেন এবং আপনার প্রথম ছবির নাম কি?
– আমি এ পর্যন্ত দুইটি ছবি নির্মাণ করেছি আর একটি ছবি নির্মাণের পথে যার গল্প লেখা শেষ হয়েছে। আমার প্রথম ছবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘মিনি কাবুলিওয়ালা’। এতে কাবুলিওয়া চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন আহম্মেদ রুবেল। আর আমার দ্বিতীয় ছবির নাম ‘নীল ফড়িং’। এতে নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেছেন আফরিন সেলিনা। আরও আছেন শিপন মিত্র যাকে নায়ক বলা চলে। আমার নীল ফড়িং ছবিটি এখনো মুক্তি পায়নি। আসলে নীল ফড়িং ছবিটি সাহিত্য নির্ভর ও শিক্ষামূলক চলচ্চিত্র তাই ভালো সময় বুঝে মুক্তি দেব
আপনি তৃতীয় যে ছবিটি নির্মাণ করতে যাচ্ছেন তার নাম কি দিয়েছেন?
– আমার তৃতীয় এ ছবিটির নাম হলো ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’। অভিনয় শিল্পিদের নাম এখনো ঠিক হয়নি।
‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ ছবিটির গল্প কি নিয়ে?
– আমার সোনার বাংলা ছবিটি মুক্তিযুদ্ধের গল্প নিয়ে। এটি একটি ব্যতিক্রমধর্মী ছবি যে ছবিতে মানুষ বুঝবে বাংলাদেশ আসলে কত সুন্দর। আমার সোনার বাংলা তো যুগ যুগ ধরেই সোনার বাংলা। আর এই সোনার বাংলা আমরা অনেক কষ্টে ১৯৭১ সালে ছিনিয়ে এনেছি। এই ছবিতে ভিন্ন রকমের মুক্তিযুদ্ধের গন্ধ আছে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক ছবি নির্মাণ হয়েছে কিন্তু আমার গল্পটির মাঝে একটু ভিন্নতা আছে এবং সত্যি গল্পের উপর নির্মিত। এতে নতুন প্রজন্ম অনেক অজানা কিছু জানতে পারবে। মুক্তিযুদ্ধে আমরা এত তাড়াতাড়ি কিভাবে জয়লাভ করেছি তা নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে। আর এ যুদ্ধের সময় বাংলার মানুষের কত কষ্টে ছিল এবং একজন নারীর কষ্ট এ গল্পের মাধ্যমে দর্শক প্রত্যক্ষ করবে। এটা এমনি একটি চলচ্চিত্র যেখানে মুক্তিযুদ্ধে এক নারীর স্বামী শহীদ হয়। এরপর একজন রাজাকারের ছেলের সাথে তাকে বিয়ে দেয় গ্রামবাসী। একটি বেদনাদায়ক অবস্থায় সেই নারী অগ্নিমূর্তি ধারণ করে সেখান থেকে এমন কিছু ঘটনা ঘটিয়ে চলে আসে যা আমি বলব না। এটা মানুষ সিনেমা হলে গিয়ে দেখলেই বুঝবে।
‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ ছবিটি সম্পর্কে দর্শকদের উদ্দেশে কিছু বলেন-
– এ ছবি সম্পর্কে আমি দর্শকদের কে বলব, ছবিটি আপনাদের পরিবার নিয়ে হলে গিয়ে দেখা উচিত। যদিও অনেকেই ব্যবস্থার মাঝে হলে গিয়ে ছবি দেখতে পারে না। কারণ আমরা ডিজিটাল পৃথিবীর সাথে একাত্ম হয়ে গিয়েছি। আমরা প্রত্যেকেই ব্যস্ত। আমরা নিজের বাচ্চাদের সময় দিতে পারছি না। এখনকার ছেলে-মেয়েরা রাত-দিন কোথায় থাকে তা বাবা-মায়েরা বলতে পারে না। তবে আমি বলবো প্রত্যেক বাবা-মায়ের উচিত ছেলে-মেয়েদের সঠিক সংস্কৃতির পথ দেখানো।