বাদাম চাষ ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাঞ্ছারামপুরে
বাঞ্ছারামপুর প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাদাম চাষ। উপজেলার বিস্ত্রীর্ণ চর এলাকাগুলোতে বাদামের চাষ হচ্ছে। উৎপাদন খরচ কমের পাশাপাশি অধিক লাভ হওয়ায় চাষিরা বাদাম চাষের দিকে ঝুঁকছে। পচনশীল না হওয়ায় সংরক্ষণে চাষিদের কোনো বেগ পেতে হয় না।
চাষিদের মতে, কৃষি বিভাগ আরও তৎপর হলে উৎপাদন ও লাভের পরিমাণ দুটিই বৃদ্ধি পেত।চরাঞ্চলের কৃষকরা যেহেতু দরিদ্রতর,সেজন্য বিনামূল্যে সার বা পাকিস্থানী বাদামের বীজ বিনামূল্যে দেয়ার আহবান করেছে স্থানীয় কৃষকরা। বাদাম চাষীরা অভিযোগ করেছেন,উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে কোন পরামর্শ তো পাচ্ছেন-ই না,তারউপর-একদিনের জন্যও কোন কৃষি কর্মকর্তা/কর্মচারী তাদের বাদাম চাষ দেখতে আসেনি।তাতে তারা হতাশ নন।বাদাম চাষীরা এ বছর বাদামের বাম্পার ফলনের আশা করছেন।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কোলঘেষে মেঘনা তিতাস অববাহিকাসহ চরাঞ্চলে বিস্ত্রীর্ণ জমিতে বাদামের চাষ হচ্ছে। এসব এলাকার বেলে ও বেলে-দোআঁশ মাটি বাদাম চাষের জন্য খুবই উপযোগী। উপজেলার জেলার শিবপুর,বাহেরচর,মানিকপুর ও নগরীরচর এ চারটি এলাকায় বাদামের চাষ হচ্ছে। বাদাম চাষের জন্য কোনো বাড়তি সেচের প্রয়োজন হয় না।
খোজ নিয়ে জানা গেছে,কৃষকেরা চার ধরনের বাদাম চাষ হয়। এগুলো হচ্ছে ঝিঙ্গা বাদাম (৪ দানা), বারী বাদাম, বিনা বাদাম, ঢাকা-১ বাদাম।তবে,পাকিস্থানী বড় দানার বাদামের বীজ উচ্চ মূল্য হওয়ায় তা তারা ক্রয় করতে পারেন নি। কথা বলে জানা গেছে,চলতি বছর বাঞ্ছারামপুরে ১৫ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ করা হয়েছে। লাভ জনক ফসল হওয়ায় কৃষকরা ক্রমশ বাদাম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। প্রায় সারা বছরই এর চাষ করা যায়। প্রতি কানি (৩৩ শতাংশ ) জমিতে ৮/১০ মন বাদাম পাওয়া যায়।
বেশ কয়েকজন কৃষক জানিয়েছেন, বাদাম চাষে করে লাভবান হওয়ার কথা। ৩০ শতাংশ জমিতে বাদাম চাষে খরচ হয় ৪/৫ হাজার টাকা। বাদাম বিক্রি করে বেশ ভালোই লাভ হয়। বিক্রি করা যায় ২০/২৫ হাজার টাকা।সেজন্য,গ্রামের অনেকেই এখন বাদাম চাষে উদ্যোগী হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপজেলা অফিসার মো.জামাল হোসেনের সাথে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি।তবে,মাঠ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম ও এআর হুমায়ূন কবীর জানান, ‘বিষয়টি আমাদের জানা ছিলো না।তবে,টুকটাক বাদাম চাষের কথা শুনেছি।বাঞ্ছারামপুরে বাদাম চাষের বিষয়টি আমাদের কৃষি বিভাগ পর্যবেক্ষন করতে শীঘ্রই বাদাম চাষীদের কাছে যাবো।’