পদ্মা সেতুর সুফল পেতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে চার লেনে উন্নীত হবে ১১৬ কিলোমিটার সড়ক
এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট :পদ্মা সেতুর সুফল পেতে এন-৭ ও এন-৮০৫ এর আওতায় দক্ষিণের কুদির বটতলা-কাটাখালি ও কাটাখালি-ভাঙ্গা এ দু’টি সড়কের অন্তত ১১৬ কিলোমিটার চার লেনে উন্নীতকরণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। অন্যথায় দেশের বৃহৎ ওই প্রকল্প চালু হলে সড়কে বড় ধরনের যানজট ও দুর্ঘটনা ঘটনার শঙ্কা রয়েছে। এমনকি প্রকল্পের আসল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অনেকটা ব্যাহত হবে। অবশ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিষয়টি সড়ক বিভাগের পরিকল্পনায় রয়েছে। খুব জোরালো চেষ্টা চলছে, অর্থের সংস্থান মিললে বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে।
জানা গেছে, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কয়েক কোটি মানুষের বসবাস। এসব মানুষের রাজধানী ঢাকায় সাথে সহজ যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে পদ্মা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় বর্তমান সরকার। উদ্যোগটি বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে পদ্মা সেতুর কাজের সার্বিক ৬১ দশমকি ৫ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। এছাড়া প্রকল্পের মূল কাজের ৬৬ শতাংশ শেষ হয়েছে। বসানো হচ্ছে সেতুর তুতীয় স্প্যান। যথাসময়ের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
আর পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন ও চালু হলে বদলে যাবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জীবনযাত্রার মান। গতি বাড়বে এখানকার ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পায়নে। অর্থনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে। এসব বিষয় মাথায় রেখে অনেক শিল্পপতি জমি কিনতে শুরু করছেন এ অঞ্চলে। গড়ে উঠতে শুরু করেছে নিত্য নতুন শিল্প-কারখানা, ব্যবসা প্রতষ্ঠিান ও স্থাপনা। পাশাপাশি চাঙ্গা হচ্ছে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দর। ফলে অনেক ভারী ও বেশি সংখ্যক যানবাহন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করবে। কিন্তু খুলনা থেকে পদ্মা সেতু পর্যন্ত এন-৭ ও এন-৮০৫ এর আওতায় কুটির বটতলা থেকে কাটাখালি এবং কাটাখালি থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত অপ্রশস্ত ১১৬ কিলোমিটার সড়ক ভারী যানবাহনের চাপে বড় ধরনের যানজট ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে এসব ভোগান্তি এড়াতে ও জীবনের ঝুঁকি কমাতে সড়ক দু’টি চার লেনে উন্নীতকরণের মহা-পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জনউদ্যোগ খুলনার মহাসচিব কুদরত ই খুদা বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিপুল সংখ্যক মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে কাটাখালি-ভাঙ্গা এবং কুটির বটতলা-কাটাখালি এ দু’টি সড়ক ব্যবহার হবে। ফলে সড়ক দু’টি ডিভাইডার দিয়ে প্রশস্তকরণ না হলে যানজট ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তাই সরকারের উচিত খুব শিগগিরই সড়ক দু’টি প্রশস্তকরণের পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করা। অন্যথায় প্রকল্পের আসল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অনেকটা ব্যাহত হবে।
বাগেরহাট সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুজ্জামান মাসুদ এ প্রতিবেদককে বলেন, এন-৭ ও এন-৮০৫ এর আওতায় সড়ক দু’টি চার লেনে উন্নীতকরণের পরিকল্পনা রয়েছে। ওই প্রকল্পের আওতায় সড়ক প্রশস্তকরণ ও ডিভাইডার ইত্যাদি সুযোগ-সুবিধা থাকবে। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গেলে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন। ইতোমধ্যে অর্থ সংস্থানের জন্য জোরালো চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ফান্ডের ব্যবস্থা হলেই সড়ক দু’টি চার লেনে উন্নীতকরণ কাজ শুরু করা হবে।