ইসবগুলের ভুসির কার্যকারিতা জেনে নেয়া যাক—
১. পেটের প্রায় সব ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ইসবগুল হতে পারে এক উত্তম দাওয়াই। পেট ঠাণ্ডা রাখতে ইসবগুল ভুসির ভূমিকা অনন্য।
২. তাছাড়া পেট ব্যথা দূর করতে ইসবগুলের ভুসি খেতে পারেন। এর মিউসিলেজিনাস ভূমিকার কারণে আলসারজনিত পেট ব্যথা কম মনে হয়।
৩.ইসবগুলে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যামিনো এসিড রয়েছে। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এক গ্লাস পানিতে চিনি বা গুড় মিশিয়ে খালি পেটে এ ভুসি খান। প্রতিদিন দুই থেকে তিন চা চামচ ইসবগুল ভুসি এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে দুই থেকে চারবার খেতে পারেন, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় সমাধান পাবেন।
আরও : রাজীবের হাত হারানো মামলার প্রতিবেদন ১৬ জুলাই
৪.আঁশসমৃদ্ধ খাবার ইসবগুল। নিয়মিত ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। আমাশয় কিংবা অর্শ রোগ থেকে দূরে থাকতে পারবেন। দ্রুত ফল পেতে দইয়ের সঙ্গে ইসবগুল মিশিয়ে খেতে পারেন।
৫.হজমের সমস্যায় ভুগছেন? এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ইসবগুলের ভুসি খেতে পারেন।
৬.কোলেস্টেরল ও উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ওজন কমাতে চাইলে ইসবগুলের ভুসি খেয়ে যান। পাশাপাশি টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য এটা এক দারুণ পথ্য।
৭.ডায়রিয়া উপশমে বেশ উপকারে আসে ইসবগুল ভুসি। এজন্য ৭-২০ গ্রাম ভুসি দিনে দুবার খাওয়া যেতে পারে।
৮.পাইলস রোগীদের জন্য সুখবর। এ রোগে আক্রান্ত হলে প্রতিদিন তিন থেকে চারবার ইসবগুলের ভুসির শরবত খেয়ে যান।
৯.নির্দিষ্ট মাত্রায় ইসবগুল খেলে তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা ভালো। সূত্র: কলকতা টোয়েন্টিফোর