খিরার বাম্পার ফলন : বাঞ্ছারামপুরে কৃষকের মুখে হাসি
ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাহেরচর গ্রাম।পাশাপাশি রয়েছে সোনারামপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রাম।মেঘনা নদীর তীরবর্তী জেগে উঠা গ্রামের নতুন চরাঞ্চল। সেখানে হেক্টরের পর হেক্টর জমি কয়েক বছর আগেও অনাবাদি হিসেবে পড়ে থাকতো। কারন, এসব জমি ছিলো বালিমিশ্রিত ।ফলে-ধান-পাট করার মতো মাটির উপযুক্ততা এখানে নেই।এই অবস্থার উত্তোরন ঘটিয়ে কেবল খিরা আর বাঙ্গি চাষ করে অভাবনীয় সফল্যের মধ্যদিয়ে মুখে হাঁসি ফুটেছে গ্রামের কৃষকদের। জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন কৌশল হিসেবে বালি মাটিতে বিশেষ করে খিরা চাষ করে অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য আর্জন করেছে তাঁরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এক বছর আগে উপজেলার বাহেরচর,সরিষারচর,শিবপুর,নগরীরচর,শান্তিপুর গ্রামের ৫’শ ২০ বিঘা জমিতে শতাধিক কৃষক বালি মাটিতে খিরা চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন। গ্রামগুলোতে খিরা চাষ করে এ বছর বাম্পার ফলনে সক্ষম হয় কৃষকরা।
আরও : বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ‘মাইল্ড স্ট্রোক’ হয়েছে—ধারণা চিকিৎসকের
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,চরাঞ্চলের কৃষকদের উৎপাদিত খিরা চাষ দেখে অনেকেই এতে আগ্রহী হয়ে চাষাবাদ করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে। একসময়ের পতিত জমিতে উৎপাদিত খিরা বিক্রি করে তারা অর্থনৈতিকভাবেও স্বচ্ছলতা ফিরে পেয়েছে।
বাহেরচর গ্রামের সফল কৃষক মাতু মিয়া, শাহআলম, ছাত্তার জানান, কোনো প্রকার রাসায়নিক ব্যবহার ছাড়াই তারা এ খিরা চাষ করছেন।অনেকে আবার খিরার পাশাপাশি বাঙ্গি চাষ করছেন। এ ফসল নিয়ে তারা আর বাজারে যেতে হচ্ছে না। ব্যাপারীরা ভোর হতেই মাঠে রিক্সা-ভ্যান নিয়ে অপেক্ষমান থাকেন খিরা ক্রয় করতে সে খিরা-বাঙ্গি যাচ্ছে পাশর্^বর্তী নরসিংদী,আড়াইহাজার,গোপালদী,নারায়নগঞ্জ,হোমনা,মুরাদনগর হয়ে চট্রগ্রাম। কথা বলে জানা গেছে, বিঘা প্রতি খিরা চাষে ২৫-৩০ হাজার টাকা ব্যায় করে মাত্র আড়াই মাসে আয় হচ্ছে ৬৫-৭০ হাজার টাকা। সেই কারণে এ চাষ খুব লাভ জনক হওয়ায় কৃষকরা আরও এ চাষে ঝুকছে।