কসবায় বিয়ে বাড়িতে হামলা, ঘটনাস্থল পরিদর্শনে চট্রগ্রাম রেঞ্জের ডি.আইজি
নিজস্ব প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ইভটিজিংয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র হরিজন পাড়ায় বিয়ে বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যায় চট্রগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি ডক্টর এস. এম. মনিরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। এসময়
আরো উপস্হিত ছিলেন পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান এড,আনিসুল হক ভুইয়া, উপজেলা নির্বহী অফিসার হাসিনা ইসলাম। এসময় তিনি বলেন ঘটনার সাথে জড়িত ও উস্কানিদাতা দেরকে ছাড় দেওয়া হবে না। এই দিকে আইনমন্ত্রী এড: আনিসুল হক এমপির পক্ষে আইনমন্ত্রীর এপিএস এড.রাশেদুল কাওসার ভুইয়া জীবন নগদ ৫০হাজার টাকা ক্ষতিগ্রস্থদের হাতে তুলেদেন।
উল্লেখ যে, কসবায় ইভটিজিংয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র হরিজন পাড়ায় বিয়ে বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীরা বিয়ে বাড়ির বরকে মারধোর করে। হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে মাসুক, জুয়েল, তানভীর নামক ৩জ কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় কসবা থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার সকালে আইনমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব অ্যাডভোকেট রাশেদুল কায়সার ভূইয়া জীবন, কসবা পৌর মেয়র মোঃ এমরান উদ্দিন জুয়েল, বিনাউটি ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোঃ ইকবাল হোসেন, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার রাতে রাউৎহাট গ্রামের হরিজন পাড়ায় জহরলাল ঋষির ছেলে হুমেন ঋষি বিয়ে করতে সদর উপজেলার মজলিশপুর গ্রামে যাওয়ার সময় একই গ্রামের আটককৃতরা বরযাত্রী রেখা ঋষিকে ইভটিজিং করে। এসময় কিশোরীর বড় ভাই রায়মন ঋষি প্রতিবাদ করলে উভয়ের মাঝে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। পরে ইভটিজার তপু মোবাইল ফোনে পার্শ্ববর্তী নেমতাবাদ-মনিচং ও চান্দাইসার গ্রামের কতিপয় যুবক নিয়ে এসে বিয়ে বাড়িসহ হরিজন পল্লীর বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। এঘটনায় ৫ জন আহত হয়। আহত অবস্থায় রায়মন ঋষি কে প্রথমে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় জহরলাল ঋষি বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামী করে কসবা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযান চালিয়ে ৩জন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে ৫দিনের রিমান্ড চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।