নাসিরনগরে বাঁশের তৈরি শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালো শিক্ষার্থীরা
আকতার হোসেন ভুইয়া,নাসিরনগর : শিক্ষার্থীরা কেউ দেখেনি গৌরবের সেই ভাষা আন্দোলন। শিক্ষার্থীদের ইচ্ছে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে থাকবে সুন্দর একটি শহীদ মিনার। সেই শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। দিন যায় মাস যায় বছরও। তবুও নাসিরনগর উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এমনি শিক্ষকদের এ ইচ্ছে পূরণ হয় না। উপজেলার যে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে,তাও হতশ্রী ও ভাঙাচোরা টাইপের। খোঁজ নিয়ে জানা যায়,সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২১ ফেব্রুয়ারি আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের কথা। কিন্তু উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্টানে স্থায়ী শহীদ মিনার নেই।
ফলে বাধ্যবাধকতা থাকায় শহীদ মিনারবিহীন বিদ্যালয়গুলোতে কলাগাছ,বাশঁ,কাঠ ও কাগজ দিয়ে নিজেরা তৈরি করে অস্থায়ী শহীদ মিনার। ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে ওই শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানায় শিক্ষক- শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। শোক আর প্রাপ্তির গৌরবকে শ্রদ্ধায় স্মরণ করে আজ বুধবার সকালে উপজেলার হরিণবেড় শাহজাহান উচ্চ বিদ্যালয় ও হরিণবেড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভাষা শহীদদের স্মরণে প্রভাতফেরি শেষে হরিণবেড় শাহজাহান উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে বাঁেশর তৈরি বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে। তারপরও ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একুশের আয়োজনের অংশ হতে পেরে শিক্ষার্থীরা মহাখুশী।
আরও : বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ‘মাইল্ড স্ট্রোক’ হয়েছে—ধারণা চিকিৎসকের
হরিনবেড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিমল চন্দ্র রায় জানান আমার বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই,সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ি দিবসটি উদযাপনে বাধ্যবাধকতা থাকায় ২১ ফেব্রুয়ারিতে পাশ্ববর্তী শাহজাহান উচ্চ বিদ্যালয়ে নিজেদের তৈরি বাঁশের অস্থায়ী শহীদ মিনারে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রভাতফেরি শেষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
উপজেলায় ১২৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,১৭টি মাধমিক বিদ্যালয়,২টি স্কুল এন্ড কলেজ,২টি কলেজ ও ৬টি মাদ্রাসা রয়েছে। এরমধ্যে ৪টি কলেজ ও ৫টি বিদ্যালয়ে স্থায়ী শহীদ মিনার রয়েছে।
সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল আলম বিভিন্ন বিদ্যালয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনারে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে নিশ্চিত করে তিনি বলেন প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা পালনের বাধ্যবাধকতার জন্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো পরিপত্র দেয়া হয়েছে। তবে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থায়ীভাবে শহীদ মিনার নির্মাণের বাধ্যবাধকতার বিষয়ে কোন নির্দেশনা নেই বলেও তিনি জানান।