ক্যানসার প্রতিরোধী চালের সন্ধান মিলল ভারতে
স্বাস্থ্য ডেস্ক : ক্যানসার প্রতিরোধী তিনটি প্রজাতির চালের সন্ধান মিলল ভারতে। বিজ্ঞানীদের দাবি, গাওয়ান, মহারাজি ও লাইচা প্রজাতি চালের ক্যানসার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা আছে। এই তিন প্রজাতির চালই উৎপন্ন হয় ছত্তিশগড়ে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রভূত উন্নতি হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে এখন ক্যানসার রোগীকেও সারিয়ে তোলা সম্ভব। বহু বছর সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারেন ক্যানসার আক্রান্তরা। কিন্তু যে পর্যায়ের ধরা পড়লে সুস্থ থাকা যায়, সেই পর্যায়ে খুব কম রোগীরই ক্যানসার ধরা পড়ে। অধিকাংশই যখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। অনেক সময় আবার পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরও ফের শরীরের বাসা বাঁধে এই মারণরোগ।
আর সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হল, অতিরিক্ত ধূমপান, মদ্যপান ও পরিবেশগত কারণে, সারা বিশ্ব জুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, ২০২১ সালে মধ্যে সারা বিশ্বেই ক্যানসার মহামারি আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।
ক্যানসার নির্মূল করতে গবেষণা চালাচ্ছেন বিশ্বের তাবড় তাবড় চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা। ভারতের ছত্তিশগড়ে উৎপাদিত ৩টি প্রজাতির চালে ক্যানসার প্রতিরোধকারী উপাদানের সন্ধান পেয়েছেন রায়পুরের ইন্দিরা গান্ধী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও মুম্বাইয়ের ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের বিজ্ঞানীরা।
গবেষক দলের সদস্য দীপক শর্মা জানিয়েছেন, গাওয়ান, মহারাজি ও লাইচা প্রজাতির চালে ফুসফুস ও স্তন ক্যানসার নিরাময় করার উপাদান রয়েছে। এতে সুস্থ কোষগুলির কোনও ক্ষতি হয় না। লাইচা প্রজাতির চাল ক্যানসার কোষগুলি ধ্বংস করাই শুধু নয়, তাদের সংখ্যাবৃদ্ধি ঠেকাতেও বিশেষভাবে সহায়ক।
তিনি জানিয়েছেন, ছত্তিশগড়ের বস্তারের প্রত্যন্ত এলাকায় ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসায় এই প্রজাতির চাল ব্যবহারও করা হয়। প্রতিদিন কেউ যদি ২০০ গ্রাম করে গাওয়ান, মহারাজি ও লাইচা প্রজাতির চাল খান, তাহলে ক্যানসারের মতো মারণরোগকেও প্রতিরোধ করা সম্ভব।
বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ওই তিন প্রজাতির চালের ক্যানসার প্রতিরোধকারী উপাদানগুলি ইঁদুরের উপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে। সুষম খাদ্যের তালিকাতেও তা অন্তর্ভূত করা হবে।