মামলার আসামীরা হলেন, আটকৃত রেজাউল করিম রানা (২৬), অন্যরা হলেন, অনিক পাল (২৬), শান্ত (২৩), পাভেল (২৫)। ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার বাড়িউড়া গ্রামের মোঃ জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে অপহরন মামলাটি দায়ের করেন।
আরও : বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ‘মাইল্ড স্ট্রোক’ হয়েছে—ধারণা চিকিৎসকের
জানা যায়, সফিকুল ইসলাম ২০ জানুয়ারী হেঁটে শহরের কাউতলীর যাবার সময় অপহরনকারীরা প্রথমে ১টি মোটর সাইকেল নিয়ে ৩ জন তার গতিরোধ করে। ডিবির লোক পরিচয় দিয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তা নির্দেশে তাকে গ্রেফতার করতে এসেছি। এরই মধ্যে অন্য একজন মটরসাইকেল নিয়ে সে নিজেকে ডিবি অফিসার বলে পরিচয় প্রদান করে। পরবর্তীতে তারা শহরের অবকাশের বিপরীতে একটি অজ্ঞাত স্থানে (পরিত্যক্ত রুমে) নিয়ে অস্ত্র আছে বলে অনিক পাল তাকে বেধম মারধর করে। তার কাছে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা রেজাউল করিম রানা নিয়া যায়। জানে বাঁচতে চাইলে তাদের আরো ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দিতে বলে।
মুক্তিপনের টাকা জন্য তার চাচাতো ভাই মনিরকে টাকা জোগাড় করে আসামীদের প্রদত্ত বিকাশ নাম্বারে অথবা সরাসরি পৌঁছে দিতে বলে। অথবা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মুক্তিপন বাবদ ২ লক্ষ টাকা কাজী পাড়া ঈদগাহ মাঠে আনতে বলে। ঘটনাটি সাক্ষী মনিরুল ইসলামের সন্দেহ হলে মনিরুল ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কে জানালে তিনি থানা থেকে পুলিশ পাঠিয়ে মুক্তিপনের টাকা নিতে আসা আসামী রেজাউল করিম রানাকে টাকা গ্রহন করার সময় হাতে নাতে ধরে ফেলে।
এ সময় তার ভাইকে অপহ্নত শফিকুল ইসলাম কে উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে মামলার আসামী অন্য অপহরণকারিরা দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।