রবিবার, ৩রা জুন, ২০১৮ ইং ২০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লেপ-তোষকের কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন

তৌহিদুর রহমান নিটল,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : বাংলাদেশের কয়েকটি জেলার মর্ধ্যে খোলামেলা প্রকৃতি বৈশিষ্ট্য ঘেরা এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা। পার্শ্ববর্তী সিলেট বিভাগ ও জেলার কয়েকটি উপজেলা ভারতের সীমান্তবর্তী ঘাঁডাশা হওয়ায় এখানে শীতের তীব্রতা অনেকটাই বেশি।পৌষ মাসের প্রকৃতির  হিমেল হাওয়া আর ঘাসের ডগায় জমে থাকা শিশির বিন্দু প্রতিনিয়ত জানান দিচ্ছে শীতের  তীব্রতা। আর শীত নিবারণের প্রস্তুতি হিসেবে গরম কাপড় কেনার পাশাপাশি লেপ-তোষক চাহিদা এই অঞ্চলে অনেক বেশি।
আর শীতের এই তীব্রতা থেকে বাচঁতে প্রতিটি পরিবারের  মৌসুমে এই সময় লেপ-তোষকের বিশেষ প্রয়োজন।আর এই চাহিদার যোগান দিতে গিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এখন চরম ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোষকের কারিগররা। তারা এখন মহা ব্যস্ত সময় পার করছেন। ঠিক সময়ে খাওয়া-দাওয়া ও ঘুম হারাম দিনে রাতে বুনছেন শীতের পরশ কোমল লেপ-তোষক।

জেলা শহরের লাখী বাজার, সড়ক বাজার, সিনেমা হল সড়ক, ঘোড়া পট্রি কাজীপাড়া  সড়ক, মৌড়াইল ও কাউতলী এরকম বেশ কয়েকটি স্হানে প্রায় অর্ধ-শতাধিক দোকান  সকাল থেকে রাত পর্যন্ত লেপ-তোষক বানাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। এসব দোকান দারদের বেশিরভাগ মালিকদের রয়েছে  নিজেদের মাল তৈরীর গোডাউন।  বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে চাহিদার বেশি থাকায় প্রায় সব দোকানদারের শীত মৌসুমে বিক্রি কয়েক গুন বেড়ে যায় বলে জানা গেছে।

কথা হয় কয়েকজন দোকান মালিকের সাথে তারা বলেন, মাঝারি ধরনের একটি লেপ বানাতে খরচ হয় দেড় থেকে দুই হাজার টাকা।বড় মাপের, ৪/৫হাতের একটি ভাল লেপ বানাতে আড়াই থেকে চারহাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। বর্তমানে বাজারে প্রতিকেজি শিমুল তুলা চারশত থেকে ছয়শত, কার্পাস তুলা প্রতিকেজি আড়াই’শ থেকে সাড়ে তিন’শত টাকা, গার্মেন্টসের সাদা তুলা প্রতিকেজি  একশত টাকা থেকে দেড়শত টাকায়  আর কালো তুলা প্রতিকেজি সওর থেকে নব্বই টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কারিগরদের মজুরি ছয়শত টাকা থেকে পনেরশত টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ রয়েছে ক্ষেএ বিশেষে।  এই মৌসুমে প্রতিদিন বড় দোকানগুলোতে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা বিক্রি হয়। দেশের  বিভিন্ন স্থান থেকে লেপ তোষক তৈরির তুলা কিনে আনা হয়। তবে কম্বল বের হওয়ায় লেপের চাহিদা কিছুটা কমে গেছে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে তুলা ও কাপড়সহ অন্যান্য উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় লাভ কম হচ্ছে জানায় তারা।

মেসার্স ভূইয়া বেডের মালিক বলেন, “আমরা অনেক কষ্ট করে এই ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছি। এই ব্যবসায় এখনও আর আগের মত লাভ নাই। এর পরেও সরকারের পক্ষ থেকে কখন আমাদের কোন অর্থিক সাহায্য দেয়া হয়নি।”
Print Friendly, PDF & Email