দ্রুত বয়সের ছাপ পড়ে শরীরে যে ৬ কারণে
---
লাইফস্টাইল ডেস্ক : বয়স ৫০ এর কোঠায় পৌঁছালেও আপনি হয়তো চামড়া টানটান ও শরীরে তারুণ্য ধরে রাখতে চান। কিন্তু সময়ের আগেই চামড়া কেমন যেন কুঁচকে যাচ্ছে। চেহারাটাও একটু ভারিক্কি হয়ে গেছে। চোখের তলায় গভীরতাও বেড়ে গেছে একটু বেশিই। চুলেও পাক ধরতে শুরু করেছে। এমনটা হওয়ার কারণ আপনি জীবন যাপনের প্রাত্যহিত কিছু অভ্যাস। যার ফলে না চাইলেও বুড়িয়ে যাচ্ছে আপনি। আসুন জেনে নিই শরীরে বয়সের ছাপ ফেলা ৬ বাজে অভ্যাসের বিষয়ে-
১. অনিদ্রা: অনেকেরই অনিদ্রার অসুখ আছে। ঘুমের অভাব তাদের অবসাদগ্রস্ত করে রাখে। কারও কারও আবার দেরিতে ঘুম ও রাত জাগার অভ্যাস বছরের পর বছর ধরে। এভাবে দীর্ঘ দিনের অনিয়মিত ঘুম, রাত জাগা ও অনিদ্রার ফলে শরীরের বয়স দ্বিগুণ হারে বাড়তে থাকে।
২. মিষ্টি: মিষ্টি জাতীয় অনেক খাবারই পছন্দ আপনার। কিন্তু এ ধরনের খাবার জিহ্বার জন্য যতো ভালো, শরীরের পক্ষে ততোটা ভাল নয়। আর যার মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা যতো বেশি, তার বয়স ততো বেশি হারে বাড়তে থাকে।
৩. খাদ্যাভ্যাস: শহুরে জীবনে মানুষের কাজের চাপে যেমন বেড়েছে, তেমনি দ্রুতহারে বেড়েছে ফাস্টফুড খাওয়ার প্রবনতা। পিজ্জা, বার্গার, হটডগ, ফ্রেন্সফ্রাই খেতে খেতে যেন শহুরে বাঙালিও ভাত-মাছ, শাক-সবজি খেতে ভুলে যাচ্ছে। এর ফলে কম বয়সেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। আর দ্রুতই শরীরে পড়ছে বয়সের ছাপ।
৪. যৌনতার অভাব: যৌন চাহিদা প্রতিটি মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। শরীর থাকলে তার জৈবিক চাহিদা যেমন থাকে, তেমনি একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের নিয়মিত যৌন চাহিদা মেটানো জরুরি। কারণ যৌনতার মাধ্যমে শরীরে এন্ডরফিন নামক এক ধরনের রাসায়নিক নির্গত হয়, যাতে মন ভাল রাখার উপাদান থাকে। এর ফরে ঘুমও খুব ভালো হয়। এছাড়া যৌন সম্পর্ক শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখে। এতে শরীর সুস্থ থাকে, বয়সও যেন ধীর গতিতে বাড়ে।
৫. শরীরচর্চা: শরীরচর্চা বা ব্যায়াম সুস্থ শরীরের আসল চাবিকাঠি। কিন্তু ব্যস্ত জীবনে মানুষ শরীরচর্চা বিষয়টি ভুলে যায়। কারও কারও আলস্যের কারণে ব্যায়াম করা হয়ে ওঠে না। এসব কারণে শরীর মুটিয়ে যায়, রোগ বাসা বাধে শরীরে। দ্রুতই বয়সের ছাপ পড়ে চেহারায়।
৬. শুচিবাই: পরিষ্কার থাকা ভালো। কিন্তু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে অতিরিক্ত খুঁতখুঁতে স্বভাব ভালো নয়। দিনে শতবার হাত-পা-মুখ ধুলে সেটা ক্ষতির কারণ হতে পারে। এতে অল্প বয়সেই বেশি বুড়িয়ে যেতে পারেন আপনি। ক্র্যাশ ডায়েটিং বা অতিরিক্ত কম খাওয়ার ফলেও এমনটা হতে পারে।