দেশের প্রথম পারমাণবিক চুল্লির মূল নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
---
নিউজ ডেস্ক : দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পারমাণবিক চুল্লির জন্য কংক্রিটের মূল স্থাপনা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে উদ্বোধন করেন তিনি।এর আগে সকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে ঈশ্বরদী উপজেলায় পদ্মাতীরের রূপপুরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
প্রকল্প এলাকায় যে জায়গায় নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর তৈরি হবে, সেখানে অস্থায়ী মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী কর্ণিক দিয়ে নিজে হাতে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম কংক্রিট ঢালাইয়ের উদ্বোধন করেন।
৫৭ বছর পর দেশবাসীর স্বপ্ন পূরণ হলো। পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের যুগে প্রবেশের মধ্য দিয়ে রূপপুরের আলোয় আলোকিত হবে দেশ।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে পাবনার ঈশ্বরদী বিমানবন্দর থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, পৌর এলাকার প্রধান সড়কসহ ১৭ কিলোমিটার পথজুড়ে তোরণ নির্মাণ ও রাস্তা সংস্কারের কাজ করা হয়েছে। পাশাপাশি রূপপুর প্রকল্প এলাকায় বৃক্ষ রোপণসহ সৌন্দর্যবর্ধন কাজ করা হয়েছে।
জানা যায়, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন রসাটমের দায়িত্বে ২০১৩ সালে শুরু হয় দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ। মূল স্থাপনার কাজ শুরুর ৬৮ মাসের মধ্যেই এখান থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর সমকালকে বলেন, ‘রূপপুর প্রকল্পে রিঅ্যাক্টর ঘিরে রয়েছে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয়। রাশিয়ান ফেডারেশনের নির্মিত প্রযুক্তির অ্যাকটিভ ও প্যাসিভ সেফটি সিস্টেমের কারণে এ কেন্দ্রটি সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা সর্ম্পকে পাবনার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির (পিপিএম) বলেন, ‘গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ব্লক রেড চেকপোস্ট জোরদার করা হয়েছে। আমরা কোন ধরনের থ্রেট অনুমান করছি না। ৩০ তারিখ সেখানে এসএসএফ থাকবে, পিজিআর থাকবে, রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রটি একটা কেপিআই জোন ফলে নিরাপত্তার সার্বিক দায়িত্ব থাকবে সেনাবাহিনীর ওপর। এর পাশাপাশি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ভূমিকা নেব। মূলতঃ প্রকল্প এলাকা জুড়ে গড়া হয়েছে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়।’