শাজনীনের হত্যাকারী শহীদের ফাঁসি কার্যকর
---
গাজীপুর প্রতিনিধি : শিল্পপতি লতিফুর রহমানের মেয়ে শাজনীন তাসনিম রহমানকে রাজধানীর গুলশানের নিজ বাড়িতে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আসামি শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। বুধবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে গাজীপুরে কাশিমপুর হাইকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে তার ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়। রায় কার্যকরের পর কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. মিজানুর রহমান কারা ফটকে এসে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেল সুপার জানান, ফাঁসি কার্যকরের পর সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে তার ভাই মহিদুল ইসলাম মরদেহ গ্রহণ করেন।পরে রাতেই তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের মোকসেদপুর থানার ডাংগাদুর্গাপুর গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পারিবারিক কবরাস্থানে তাদে দাফন করা হবে।
রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে শাজনীন হত্যা মামলার আসামি শহীদুল ইসলাম শহীদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন্স) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন। কারাসূত্র জানায়, ফাঁসির রায় কার্যকরের সময় গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাহেনুল ইসলাম, কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ মো: মঞ্জুুরুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেল শেখ উপস্থিত ছিলেন।
ফাঁসি কার্যকরের সময় লিভার টেনে ধরেন কারাগারের প্রধান জল্লাদ রাজু। এসময় তার কয়েক সহযোগী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বুধবার দুপুরে শহীদের পিতা সিদ্দিক মোল্লা, মা, ভাই, বোন কারাগারে তার সঙ্গে শেষ দেখা করেন।
কারাসূত্র জানায়, সাক্ষাৎকালে শহীদ স্বাভাবিক থাকলেও তার বাবা-মা ও ভাই বোন কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এক পর্যায়ে শহীদও আবেগে আপ্লুত হয়ে যান। অশ্রুস্বজল চোখে তারা কারাগার ত্যাগ করেন। আসামি শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ ২০১২ সাল থেকে কাশিমপুর হাইকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন।