বিজয়নগরে ইটভাটায় হামলা ঘটনায় আহত ৫
---
এ সময় ব্রিকস ফিল্ডের অফিসকক্ষ ও দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার প্রতিবাদে তাত্ক্ষণিকভাবে আখাউড়া-চান্দুরা সড়কের আখাউড়ার আজমপুর ও দুর্গাপুরে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করে ছগির আহমেদের সমর্থকরা।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া পৌর এলাকার দুর্গাপুরের ছগির আহমেদ সিঙ্গারবিলের ওই ব্রিকস ফিল্ডের মালিক। ছগির প্রবাসে থাকা অবস্থায় প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা নিয়ে সিঙ্গারবিলের মেম্বার আবু মিয়ার সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। একাধিকবার সালিসের পর বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা হয়। সম্প্রতি এক সালিসে আখাউড়া ও বিজয়নগর থানা পুলিশের পাশাপাশি একাধিক জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এরই মধ্যে সাবেক মেম্বার শাহজাহান জানান, দুই ভাই তাঁকে না বলেই ব্রিকস ফিল্ডের মালিকের কাছে জায়গা বিক্রি করে দিয়েছেন।
জায়গাটির বিষয়ে ছগিরের ওপর তিনি চাপ দেন।
ইটভাটার ব্যবসায়িক অংশীদার ও হামলায় আহত শিপন আহমেদ জানান, গতকাল সকালে আবু মিয়া ও শাহজাহান মিয়ার নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তারা ছগির আহমেদসহ অন্যদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম এবং অফিসকক্ষ ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। লুটে নেয় শ্রমিকদের জন্য রাখা মজুরির প্রায় তিন লাখ টাকা। ছগির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শিপন বলেন, চাঁদা দাবিসহ নানাভাবে তাঁদের হয়রানি করা হচ্ছিল। আবু মিয়ার সঙ্গে যে সমস্যা ছিল তা ছগির অনেক লোকসান দিয়ে মিটিয়েও ফেলেন।
সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আজ (গতকাল) যে ঘটনা ঘটানো হলে এর সঠিক বিচার হওয়া উচিত। ’
শাহজাহান মিয়া বলেন, তিনি জানতেন না তাঁর ভাইয়েরা ইটভাটা মালিকের কাছে জমি বিক্রি করেছেন। গতকাল তিনি ইটভাটা এলাকায় তাঁর জমি দেখতে গেলে ইটভাটার লোকজন তাঁর ওপর চড়াও হয়। খবর পেয়ে গ্রামের লোকজন ইটভাটার লোকজনের ওপর পাল্টা হামলা করে। বিজয়নগর থানার ওসি মো. আলী আর্শাদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে কাউকে আটক করা যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।