g কিছু শিক্ষকই প্রশ্নপত্র ছাত্রদের দিয়ে দেন : শিক্ষামন্ত্রী | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

রবিবার, ১৯শে নভেম্বর, ২০১৭ ইং ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

কিছু শিক্ষকই প্রশ্নপত্র ছাত্রদের দিয়ে দেন : শিক্ষামন্ত্রী

AmaderBrahmanbaria.COM
নভেম্বর ১৭, ২০১৭

---

নিজস্ব প্রতিবেদক : কিছু শিক্ষক আছেন যারা সেটা আগেই অ্যারেঞ্জমেন্ট করে রাখেন, প্রশ্নপত্র ছাত্রদের দিয়ে দেন বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনের ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, আগে বিজি প্রেস (সরকারি ছাপাখানা) ছিল প্রশ্ন ফাঁসের খুবই রিস্কি জায়গা। এখন সেখানে প্রশ্ন ফাঁসের কোনও সম্ভাবনা নেই। প্রশ্ন ছাপার পর আমরা তা জেলায় পাঠাচ্ছি; সেখানেও ফাঁসের কোনও সম্ভাবনা নেই, থানায় পাঠাচ্ছি সেখানেও কোনও সম্ভাবনা নেই।
কেবলমাত্র সকাল বেলা ওইদিনের প্রশ্ন প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে। আমরা সকাল বেলা যখন শিক্ষকদের হাতে প্রশ্ন দেই তখন কিছু শিক্ষক আছেন, যারা সেটা আগেই অ্যারেঞ্জমেন্ট করে রাখেন। প্রশ্নপত্র ছাত্রদের দিয়ে দেন। আমরা এবার পদক্ষেপ নিয়েছি। সকাল বেলা আধাঘণ্টা আগে শিক্ষার্থীরা হলে ঢুকবে। এতে তাদের সুবিধাও হবে। একটু রেস্ট পাবে। খাতায় তার নামধাম লেখালেখির কাজও সেরে নেবে। আধাঘণ্টা আগে প্রশ্নের খামটা খোলা হবে। এ বছরও সাড়ে ৯টার পরে একটি প্রশ্ন ফেসবুকে দিয়ে দিয়েছে। শিক্ষকের হাতে যখন প্রশ্নপত্রটি গেল তখন নিরাপত্তা ব্যাহত হলো। এজন্য আমরা শিক্ষকদের নৈতিকতা উন্নতির বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, পরীক্ষার হলে কেউ স্মার্ট ফোন নিয়ে যেতে পারবে না। একান্ত যোগাযোগের জন্য আনস্মার্ট ফোন নিতে পারবে। তবে সেটাও পরীক্ষার সময় অফিস রুমে রাখতে হবে।

প্রশ্নফাঁস রোধে সংসদ সদস্যসহ সবার সহযোগিতা চেয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্নফাঁস যাতে বন্ধ হয় এ জন্য সবার সহযোগিতা চাই। তা না-হলে এগুতে পারবো না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সমস্যাটা হয়েছে, তার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত করে যারা দোষী সাবস্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমি আজও (বৃহস্পতিবার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম তাদের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। আমি আশা করি, এই বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভবিষ্যতে যাতে প্রশ্নফাঁস না হয়, সেজন্য আরও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে।