আফ্রিদির দ্বিতীয় বাড়ি বাংলাদেশে!
---
স্পোর্টস ডেস্ক : পাকিস্তানি অল রাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) খেলতে এর আগেও এসেছেন, এসেছেন নিজের দেশের হয়ে খেলতেও। তবে এই দেশটি খুব একটা ঘুরেফিরে কখনোই দেখেননি পাকিস্তানের সাবেক এ অধিনায়ক। অথচ এই দেশকেই নিজের দ্বিতীয় বাড়ি বলে মনে করেন এই পাকিস্তানি অল রাউন্ডার।
বৃহস্পতিবার ঢাকা ডায়নামাইটসের খেলোয়াড়দের সঙ্গে গেলেন লালবাগ কেল্লায় তিনি। মোঘল সুবাদারদের সৃষ্টি ঐতিহ্যবাহী এই স্থানে গিয়ে মুগ্ধ হয়ে যান আফ্রিদি। বরাবরই বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত হন বলে জানালেন আফ্রিদি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আমি সবসময় উপভোগ করি। এটা আমার দ্বিতীয় বাড়ি। আমি সবসময় এখানে ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করি। এখানকার জনগণের কাছ থেকে আমি সবসময় ভালো সাড়া, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা পাই। এ কারণেই আমি এখানে খেলতে ভালবাসি। এবং প্রতিবছর খেলতে চলে আসি।’
দেশের বাইরে খেলতে গেলে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় কন্ডিশন ও খাবার দাবারে। তবে উপমহাদেশের দেশগুলোতে কন্ডিশনের তেমন পার্থক্য না থাকায় এ নিয়ে ভাবতে হয় না আফ্রিদিকে। যদিও দুই দেশের সংস্কৃতি সম্পূর্ণই আলাদা। তারপরও দুই দেশের খাবারে অনেক মিল রয়েছে। তাই এ দেশের খাবার খেতে কোন সমস্যায় পড়তে হয় না বলে জানান আফ্রিদি।
দেশের হয়ে হোক কিংবা ফ্রাঞ্চাইজি লিগ, কোন দেশে সফরে গেলে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার তেমন সুযোগ হয় না খেলোয়াড়দের। এদিন দলের সঙ্গে লালবাগ কেল্লায় যেতে পেরে দারুণ খুশি আফ্রিদি। খেলোয়াড়, টিম ম্যানেজমেন্টকে ধন্যবাদ জানালেন তিনি, ‘এমন একটা উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। এটা শুধু ক্রিকেট নয়, আমাদের সামাজিক জীবন আছে, সম্প্রদায় আছে, যেখানে আমাদের প্রচুর ভক্ত আছে। তারা তাদের ক্রিকেটারকে এক এক করে দেখতে চায়। আমি আজকে খুব খুশি।’
ঢাকার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত মুঘল দুর্গ স্থাপনা অন্যতম নিদর্শন লালবাগ কেল্লা। মুঘল সবাদারদের এ স্থাপনার সৌন্দর্য্যেও মুগ্ধ আফ্রিদি, ‘এটা খুব ভালো। এটা একটি ঐতিহাসিক স্থানও বটে। ঢাকা ঘুরে দেখার জন্য আমার মনে হয় এটা আমার জন্য এবং আমার দলের জন্য খুব ভালো। এটা একটা সম্প্রদায়কে আকর্ষণের দারুণ একটা সুযোগ।’