ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীসহ পাচঁজনের যাবজ্জীবন
---
তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরিকল্পিত ভাবে নিজের স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় স্বামীসহ পাঁচজনের যাবজ্জাবীন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাঈন উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, স্বামী রফিকুল ইসলাম ও তার ভাড়া করা সহযোগী আক্তার, শামীম আহমেদ, আক্তার হোসেন এবং আরশ। তবে রফিকুল ইসলাম ছাড়া বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা সবাই জেলার নবীনগর উপজেলার কুড়িঘর ও বিদ্যাকূট গ্রামের বাসিন্দা।
চাঞ্চল্যকর এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (অতিরিক্ত পি.পি) অ্যাডভোকেট এস এম ইউসুফ ও আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট হামিদুর রহমান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২০০৯ সালের ১০ জুলাই রাতে রফিকুল ইসলাম তার স্ত্রী ফাতু বেগম শিমুকে নিয়ে কুড়িঘর গ্রাম থেকে রিক্শাযোগে বিদ্যাকূট গ্রামে তার নিজ বাড়িতে যাচ্ছিল। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী কুড়িঘর-বিদ্যাকূট সড়কে শিমুকে হত্যা করার জন্য আসামি আক্তার শামীম, আক্তার হোসেন, ও আরশ ওঁৎপেতে ছিল। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই সড়কে স্বামী রফিকুলের সহযোগিতায় আসামিরা ছুরিকাঘাত করে শিমুকে হত্যা করে।
এ ঘটনাটি ডাকাতির ঘটনা সাজিয়ে নবীনগর থানায় পরদিন ১১ জুলাই একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে রফিকুলই পরিকল্পিতভাবে তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে। পরে পুলিশ রফিকুলকে গ্রেফতার করে। তবে বাকি আসামিরা এখনও পলাতক রয়েছেন।
জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (অতিরিক্ত পি পি) অ্যাডভোকেট এসএম ইউসুফ জানান, এটি একটি নৃশংস ও জঘণ্য হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। আদালতে প্রমাণিত হয়েছে সে নিজেই খুনি ভাড়া করে তার স্ত্রীকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে। এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ এবং বাদীপক্ষ সন্তুষ্ট।