মুদ্রাপাচার মামলা: আপন জুয়েলার্সের তিন মালিক রিমান্ডে
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : মুদ্রাপাচারের পৃথক তিন মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিম, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদকে এক দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের পৃথক তিন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন আদালত।
এরমধ্যে রাজধানীর রমনা থানার মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমকে তিন দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ।
পরে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী শুনানী শেষে এক দিন রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
এছাড়া রাজধানীর গুলশান থানার একটি মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক গুলজার আহমেদকে তিন দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মাদ জাকির হোসেন এবং গুলশান থানার আরেক মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক আজাদ আহমেদকে তিন দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শিবলু ঘোষ।
পরে শুনানী শেষে এ দুই মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম এ কে এম মঈন উদ্দিন সিদ্দিকী এক দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিদের ঘোষনা বহিভূত বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কারের মূল্য পরিশোধের অর্থের উৎস সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ প্রয়োজন। এছাড়া আসামিদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক চোরাকারবারীসহ অনান্য আপরাধীদেরকে চিহিৃত করতে এবং মানি লন্ডারিং এর সহায়তাকারীদের তথ্য জানকে এ আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
এরআগে ২৪ অক্টোবর এই তিন আসামি আদালতে আত্মসমর্পন করলে তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
জানাগেছে, রাজধানীর বনানীতে দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের পিতা আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিক দিলদার আহমেদ সেলিম। ওই ঘটনায় করা মামলার পরে আপন জুয়েলার্সেল নাম সামনে আসে।
এই মামলা চাপা দিতে বিপুল অর্থ খরচের চেষ্টার অভিযোগ উঠলে অর্থের উৎস ডার্টি মানি কি না অথবা তাঁদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম অস্বচ্ছ্ কি না, তা খতিয়ে দেখতে শুরু করে শুল্ক গোয়েন্দারা। পরে আপন জুয়েলার্সের গুলশান ডিসিসি মার্কেট, গুলশান অ্যাভিনিউ, উত্তরা, সীমান্ত স্কয়ার ও মৌচাকের পাঁচটি শোরুমে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৫ মণ স্বর্ণালঙ্কার ও ৪২৭ গ্রাম হীরা জব্দ করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। ওই সব স্বর্ণালঙ্কারের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে আপন জুয়েলার্সের মালিকদের ডাকা হয়। পরে তারা বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় ওই সোনা ও হীরা বাংলাদেশ ব্যাংকে হস্তান্তর করে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। পরে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিম ও তার দুই ভাই গুলজার আহমেদ এবং আজাদ আহমেদ বিরুদ্ধে ১২ আগস্ট পাঁচটি মামলা করে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। এরমধ্যে রাজধানীর গুলশান থানায় দুটি, ধানমন্ডি থানায় একটি, রমনা থানায় একটি এবং উত্তরা থানায় মুদ্রাপাচার আইনে মামলা করা হয়।