নায়িকার বয়স বিশ বছর!
---
বিনোদন প্রতিবেদক : খুলনার শিববাড়ির ইব্রাহিম মিয়া রোডের জমিদার বাড়ির কন্যা সাদিকা পারভীন পপি ১৯৯৫ সালে ‘আনন্দ বিচিত্রা ফটোসুন্দরী’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন। এরপর তিনি শহীদুল হক খানের নির্দেশনায় ‘নায়ক’ শিরোনামের একটি নাটকে অভিনয় করেন। তবে পপিকে বরাবরই হাতছানি দিয়ে ডাকতো চলচ্চিত্রের রুপালি জগত। এই মাধ্যমে নায়িকার অভিষেক ঘটে ‘কুলি’ ছবির মাধ্যমে। ১৯৯৭ সালের ১৬ মে মুক্তি পায় মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত এই ছবিটি। এতে তার বিপরীতে ছিলেন ওই সময়কার তুমুল জনপ্রিয় নায়ক ওমরসানী। এরইমধ্যে পপি তার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারের ২০ বছর অতিক্রম করেছেন। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। তার এই অর্জন এসেছে কালাম কায়সার পরিচালিত ‘কারাগার’, নারগিস আক্তারের ‘মেঘের কোলে রোদ’ এবং সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়ম-ের ‘গঙ্গাযাত্রা’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য।
পপি বলেন, ‘মহান আল্লাহর কাছে অসীম কৃতজ্ঞতা। সেই সাথে আমার বাবা- মা, আমার প্রথম স্টিল ফটোগ্রাফির ক্যামেরাম্যান চঞ্চল মাহমুদ ভাই, প্রথম সিনেমার পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবর, প্রথম সিনেমার নায়ক ওমরসানী, সাপ্তাহিক আনন্দ বিচিত্রা’র সম্পাদক প্রয়াত শাহাদত চৌধুরী, প্রথম সিনেমার প্রযোজক সিদ্দিকুর রহমান, নায়ক ফারুক, আলমগীর, ববিতা ম্যাডাম, নৃত্য পরিচালক মাসুম বাবুল, বরেণ্য পরিচালক মালেক আফসারী, বাদল খন্দকার, নারগিস আক্তার, সামিয়া জামান, সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়ম-, সাংবাদিক ইমরুল শাহেদ ভাইসহ আমার আরো সুপারহিট চলচ্চিত্রের পরিচালকদের প্রতিও আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সবাই যার যার অবস্থানে থেকে আমাকে দারুণভাবে সহযোগিতা করেছেন।
সর্বোপরি দর্শকের কাছে আমি অনেক কৃতজ্ঞ। কারণ তারাই আমাকে তাদের ভালোবাসা দিয়ে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছেন।’ পপিকে নিয়ে পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবর বলেন, ‘ওকে আমার মেয়ের মতোই মনে করি। একজন বাবা যখন মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেয়, তখন তাকে নিয়ে চিন্তা আরো বেড়ে যায়। সে কেমন আছে, সবার সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে পারছে কী না, এমন আরো অনেক ভাবনা। পপিকে নিয়েও আমার চিন্তা ঠিক তেমনি। সে যেখানেই থাকুক, যার চলচ্চিত্রেই কাজ করুক যেন ভালো করে, ভালো থাকে এই দোয়াই আমার আজীবন থাকবে।’ পপির প্রথম ছবির নায়ক ওমরসানী বলেন, ‘দূর থেকে ওর জন্য শুধু দোয়া করি ও যেন ভালো থাকে।’